‘দ্য লায়ন কিং’ দেখার জন্য সিনেমাহলের সামনে উপচে পড়া ভিড়। আর তখনই অনলাইনে ফাঁস হয়ে গেল বিখ্যাত এই হলিউডি সিনেমা। ফলে টিকিট বুক করা থেকে ঘুরে গিয়ে দর্শকরা হন্যে হয়ে অনলাইনে খুঁজতে থাকলেন ফাঁস হওয়া ‘দ্য লায়ন কিং’-এর লিংক।
মুক্তির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কেবল ভারতে পাইরেসির খপ্পরে পড়েছে ওয়াল্ট ডিজনির ‘দ্য লায়ন কিং’। অবশ্য সে দেশে এযাবৎ যেসব মোটা বাজেটের সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, তার মধ্যে বেশিরভাগই শিকার হয়েছে পাইরেসি সাইটের। তার অন্যথা হয়নি ‘দ্য লায়ন কিং’-এর ক্ষেত্রেও।
শুক্রবার ভারতে এই সিনেমা মুক্তির প্রায় কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তামিল রকার্সে ফাঁস হয়ে যায় ওয়াল্ট ডিজনি প্রযোজিত ‘দ্য লায়ন কিং’। ডোনাল্ড গ্রোভার, বেয়ন্সের সিনেমাও পার পেল না কুখ্যাত এই তামিল পাইরেসি সাইট থেকে।
এই সিনেমা ছাড়াও ‘আর্টিকল ১৫’, ‘সুপার ৩০’, ‘কবীর সিং’, ‘স্পাইডার ম্যান ফার ফ্রম হোম’ এই সাইটের খপ্পরে পড়েছে। ইংরেজি, হিন্দি, তামিল ও তেলেগু ভাষায় মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য লায়ন কিং’। হিন্দি, তামিল ও তেলেগু ভাষায় আলাদা করে ডাবিং করা হয়েছে এই সিনেমার। তার মধ্যে ইংরেজি এবং হিন্দি ভার্সনটাই ফাঁস হয়েছে অনলাইনে।
বেআইনিভাবে সিনেমা ডাউনলোড ও পাইরেসি চক্র কঠোর হস্তে দমনের প্রচেষ্টার পরও সবই গেছে জলে। ফলে, এই পাইরেসি চক্র রীতিমতো রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে সিনেমা ব্যবসায়ীদের। ১৯৫৭ সালে চালু হওয়া কপিরাইটের আওতাভুক্ত এই পাইরেসি ইস্যু নিয়ে মামলা করলে সে ক্ষেত্রে দোষীর কারাবাস থেকে মোটা অঙ্কের জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে।
কপিরাইট আইন অনুযায়ী, প্রথমবারের জন্য কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে ছয় মাস থেকে তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। এমনকী, জরিমানা হতে পারে ৫০ হাজার থেকে দুই লাখ টাকা পর্যন্ত।
তবে, পাইরেসির খপ্পরে পড়লেও ভার্চুয়াল রিয়ালিটিতে শুট হওয়া এই সিম্বা-ম্যাজিক বড়পর্দায় উপভোগ করতে দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে যে পা রাখবেনই, তা হলফ করে বলা যায়।