কন্যা সন্তান হউক বা পুত্র সন্তানই হউক; মা সবাইকে সমানভাবে ভালোবাসেন। পরম যত্নে লালন-পালন করেন। কিন্তু ভারতের হারিয়ানা রাজ্যের কৈথালে সরকারি হাসপাতালে ঘটল উল্টা এক ঘটনা। কন্য সন্তান জন্ম নেওয়ায় নর্দমায় ফেলে দিয়েছিলেন মা। কিন্তু বেশ কয়েকটি পথকুকুর ছোট্ট শিশুকে নর্দমা থেকে উদ্ধার করে। স্থানীয়দের তত্পরতায় তাকে হাসপাতালে ভর্তিও করা হয়। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে বাঁচানো সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে চিকিত্সকরা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, কৈথালে সরকারি হাসপাতালে এক নারী কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। মেয়ে হয়েছে শুনেই মুখ বেজার মায়ের। সন্তানকে মেনে নিতে পারেনি তিনি। তাই সদ্যোজাতকে কোলে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান। হাসপাতাল থেকে কিছুটা দূরে আবর্জনার স্তূপ দেখতে পান ওই নারী। তার পাশের নর্দমাতেই প্লাস্টিকে মুড়ে নিজের সন্তানকে ফেলে দিয়ে চালে যান তিনি।
আবর্জনার স্তূপের কাছেই ছিল একদল কুকুর। প্রতিদিনের মতো ওই আবর্জনা থেকেই খাবার খুঁজছিল তারা। আচমকাই নর্দমার দিকে নজর যায় কুকুরদের। মুখ ও পায়ের সাহায্যে সদ্যোজাত কন্যা শিশুটিকে উদ্ধার করে কুকুরগুলো। চিত্কার করতে থাকে তারা। আচমকা চিত্কারে অবাক হয়ে যান স্থানীয়রা। কুকুরদের সদ্যোজাতকে উদ্ধার করতে দেখে অবাক হয়ে যান এলাকাবাসী। তারাই সদ্যোজাতকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
হাসপাতানে নিয়ে গেলে সদ্যোজাতের চিকিত্সা শুরু হয়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সদ্যোজাতর ওজন এক কেজি একশ গ্রাম। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। সদ্যোজাতকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে বলেই জানান চিকিত্সকরা।
এদিকে এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ। ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজ দেখে ওই নারীকে চিহ্নিত করারও চেষ্টা চলছে। সেখান থেকে অভিযুক্তকে শনাক্ত করছেন তদন্তকারীরা।
সূত্র: আনন্দবাজার, সংবাদ প্রতিদিন।