দুধের মান বৃদ্ধি করতে পাস্তুরিত দুধ প্রস্তুতকারকদের কিছু পরামর্শ দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্স সেন্টারের সদ্য সাবেক পরিচালক আ ব ম ফারুক বলেছেন, ‘আমরা কোনো কম্পানির স্বার্থে বা বিপক্ষে কাজ করিনি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল, মূলত দুধে কী ট্যাপের পানি না পুকুরের পানি দেওয়া হয় তা যাছাই করা। কিন্তু পরীক্ষা করতে করতে আমরা এধরনের অ্যান্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পেয়েছি।’
শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে ‘অধ্যাপক ফারুককে হুমকি প্রদান ও অমর্যাদা’র প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় দুধ কম্পানিগুলোর মালিকদের উদ্দেশ্য করে অধ্যাপক ফারুক বলেন, ‘দুধকে আরও মানসম্মত করতে হলে, যারা দুধ পাস্তুরাইজেশন করেন, তাদের সঠিক নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন। আর পাস্তুরাইজেশনের যে চেক পয়েন্টগুলো রয়েছে, সেগুলোকে আরও আন্তরিকতা সঙ্গে যেন দেখা হয়, তাহলে পাস্তুরাইজেশনে জীবাণু থাকার কোনও কারণ নেই। অনেক সময় কোম্পানিগুলো প্রতিযোগিতায় থাকে, যার কারণে ব্যব্স্থাপনায় ত্রুটি থাকে। এসব দিকে নজর রেখে দুধ পাস্তুরিত করলে জীবাণুমক্ত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুধ কম্পানিগুলো বলছে যে, গরুকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়া হয়, যার কারণে দুধে তো কিছু অ্যান্টিবায়োটিক থাকবে। কিন্তু আমি বলবো যে, অবশ্যই অ্যান্টিবায়োটিক রোধে কোম্পানিগুলোর করণীয় আছে, এসব অসত্য তথ্য দিয়ে তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে সত্য তথ্য আসুক, আমরা সত্য দিয়েই গণতান্ত্রিক বিতর্ক তৈরি করি। যে গরুকে অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ দেওয়া হবে, অব্শ্যই নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (২১ দিন) ওই গরুর মাংস বা দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আর গরুকে যদি অ্যান্টিবায়োটিক দিতেই হয়, তাহলে হিউম্যান অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হোক। তখন আর কোনও সমস্যা সৃষ্টি হবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ক ম জামাল উদ্দীন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন প্রমুখ।