মারা যাওয়ার পর নিজের চোখ দিয়ে যেন পৃথিবীর আলো অন্য কেউ দেখতে পায়, সেই ইচ্ছা ছিল তার। মৃত্যুর দু’দিন আগেও ছেলেকে বলেছেন, আমি মারা যাওয়ার পর অন্তত আমার চোখ দুটো দান করো।
বাবার সেই স্বপ্ন পূরণ করলেন ছেলে। কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন ভারতের পুরুলিয়া শহরের গাড়িখানার বাসিন্দা সুব্রত মিত্র। গতকাল সকালে তার মৃত্যু হয়েছে। তার পরই বাবার স্বপ্ন পূরণ করতে ছেলে রণজিৎ মিত্র খবর দেন দুর্গাপুরের একটি সংস্থাকে।
সুব্রত মিত্রের চক্ষুদানে খুশি তার পরিবার। রণজিৎ বলেন, বাবার চক্ষুদানের ইচ্ছা ছিল। কিন্তু পুরুলিয়ায় সেই পরিকাঠামো নেই। তাই আমি ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে দুর্গাপুরের সংস্থাটির খোঁজ পাই। এখনো যদি সামাজিক গোঁড়ামি মেনে চলি তাহলে নিজেকে মানুষ বলে পরিচয় দিতে লজ্জা করবে।
বাবা বলতেন, মৃত্যুর পর চোখ দান করলে অন্যের জীবনে তা কাজে আসবে। বাবার সেই ইচ্ছা পূরণ করতে পেরে আমি গর্বিত।
চিকিৎসক পম্পা চক্রবর্তী এ ব্যাপারে বলেন, সবার কাছে আমাদের আবেদন, সুব্রতবাবুর মতো চক্ষুদান করুন। মানুষ মরে গেলে দেহ পুড়িয়ে দেয়া হয়। কিন্তু চোখ বা দেহের অংশ দানের মাধ্যমে অন্যদের একটা নতুন জীবন দেয়া যায়।
তিনি জানান, সুব্রতবাবুর চোখ দু’টি কলকাতা মেডিকেল কলেজে দেয়া হবে। সেখানেই তা প্রতিস্থাপন করা হবে।