সুপার ওভারে ইংল্যান্ডের ওই বাড়তি ১ রান পাওয়া নিয়ে এখন আলোচনা তুঙ্গে। বাউন্ডারির হিসাবে ফল নির্ধারিত হওয়াটা নিয়েও চলছে বিতর্ক। তাতে কি ইংলিশদের শিরোপা জয়ের মাহাত্ম্য ম্লান হচ্ছে এতটুকু, নাকি ম্লান হচ্ছে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ফাইনালের যে স্বীকৃতি মিলেছে সেটি? অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেলের মতে ‘এটাই(ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ) ইতিহাসের সেরা ফাইনাল।’ আর যারা সমালোচনা করছে বিশ্বকাপের প্রথম ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে নেতৃত্ব দেওয়া চ্যাপেল তাদের উদ্দেশেই বলেছেন, ‘সমালোচনা করাটা সহজ, ততটাই কঠিন কিন্তু সমাধান দেওয়া।’
ভারতীয় পত্রিকা ‘মিড ডে’তে লেখা কলামে চ্যাপেল নিজে কিছু সমাধান বাজিয়ে দেখেছেন, যেমন বলেছেন, “প্রথম পর্বের মুখোমুখি ফলটি দেখা হতে পারে ম্যাচ ‘টাই’ হয়ে গেলে, এ ক্ষেত্রে অবশ্য ইংল্যান্ডই জিতত। কেউ কেউ বলছে সুপার ওভারই চালিয়ে যাওয়ার কথা, যতক্ষণ না তা মীমাংসা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন হলো—সে ক্ষেত্রে কি একই খেলোয়াড় বারবার খেলবে, আর বারবার তা টাই-ই হতে থাকলে এর সমাধান কী?” শেষ পর্যন্ত যা হয়েছে লর্ডসে, তা মেনে নিতে রাজি তিনি এ কারণেই যে ‘শেষ পর্যন্ত যা হয়েছে, তা অবশ্যই আদর্শ নয়। তবে ওই মুহূর্তে সেটাই ছিল পরিস্থিতি। কী হতে যাচ্ছে, দুই দলই তা জানত।’ সুপার ওভারটি বরং দর্শকদের জন্য বাড়তি পাওয়া হিসেবেই দেখছেন চ্যাপেল। তিনি বলেন, ‘ইতিহাসের সেরা ফাইনালে দর্শকরা দুটি ওভার আরো বাড়তি উপভোগ করতে পেরেছে।’ সব কিছুর পরও বেন স্টোকসের বীরত্ব যে জ্বলজ্বলে হয়েছে এ ম্যাচে, চ্যাপেল সে কারণে প্রশংসায়ও ভাসিয়েছেন এই অলরাউন্ডারকে, ‘৮৬/৪ থেকে ইংল্যান্ডকে সে ম্যাচে ফিরিয়েছে। অধিনায়ক ফিরে যাওয়ার পর সে নিজেই দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নেয়। জস বাটলারের সঙ্গে তার ১১০ রানের জুটিই ইংলিশদের আবার বিশ্বাস করাতে পেরেছে যে ম্যাচটি তারাও জিততে পারে।’
শেষ পর্যন্ত স্টোকসের ব্যাটেই ৪৪ বছরের অপেক্ষা ফুরিয়েছে ইংলিশদের। দুঃসময় থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে কিভাবে আবার বিজয়মঞ্চে ফেরা যায়, স্টোকস তারই উদাহরণ বলে মন্তব্য করেছেন চ্যাপেল, ‘ইংল্যান্ডের জন্য এ শিরোপা ৪৪ বছরের অপেক্ষা ফুরানোর আর স্টোকসের জন্য তা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ক্ষতমোচনের। খুব বাজে সময়কে কিভাবে পেছনে ফেলা যায়, স্টোকস নিজের সামর্থ্য দিয়ে তা দেখিয়েছে।’ সূত্র : মিডডে ডট কম