সাংসদদের গরুর যত্ন নেয়ার নির্দেশ নরেন্দ্র মোদির

সাংসদদের গরুর যত্ন নেয়ার নির্দেশ নরেন্দ্র মোদির

এবার গরুর খেয়াল রাখার নির্দেশ দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দলীয় সাংসদদের সেই নির্দেশনা দেন তিনি। মোদি বলেন, মানুষের পাশাপাশি পশুদের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে দলের সাংসদদের। কারণ, বছরের এই সময়েই পশুরা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

বিজেপির এক মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শুধু গরু নন, মুরগির কথাও বলেছেন। পশু-পাখিরা অসুস্থ হয়ে পড়লে কৃষকদের অনেক ক্ষতি হয়! প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই পশু-পাখিরা নাইবা হলো ভোটার। কিন্তু তাদেরও খেয়াল রাখতে হবে। নিজেদের কেন্দ্রে মানবিক বিষয়ে নিরন্তর কাজ করতে হবে সাংসদদের।

মোদি আরো বলেছেন, ২০২৫ সাল পর্যন্ত সরকার সামাজিকভাবে প্রাসঙ্গিক বিষয়ে আরো বেশি জোর দেবে। যক্ষ্মা, কুষ্ঠ বা অন্যান্য প্রতিবন্ধকতা ঠেকাতে সাংসদদের ‘মিশন-মোড’-এ কাজ করতে হবে।

বিজেপির এক সূত্রের মতে, প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের পেছনে সংঘ শিবিরেরও চাপ আছে। কয়েক দিন ধরে রাজ্যে রাজ্যে গরুর মৃত্যু হচ্ছে। ‘রাম-নগরী’ অযোধ্যায় ৫০ টির বেশি গরুর মৃত্যু হয়েছে। বিজেপি রাজনৈতিকভাবে গোমাতা, গোমাতা করে লাফালেও বাস্তবে গরুদের দুর্দশায় বিজেপি সরকারের ওপর চটে রয়েছেন সাধু-সন্তরা।

অযোধ্যায় রামের অস্থায়ী পূজাস্থলের মহন্ত সত্যেন্দ্র দাস বলেন, বিধায়ক, সাংসদ ও কর্মকর্তারা গোশালার অবস্থা জানেন। তা সত্ত্বেও গরুকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেয়া হচ্ছে।

সরযূকুঞ্জ মন্দিরের পুরোহিত যুগল কিশোর বলেন, গোশালাগুলোতে পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা করছে না স্থানীয় প্রশাসন। প্রতিকূল আবহাওয়ায় খোলা আকাশের নীচে রাখা হচ্ছে গরুদের।

জলঘোলা হতে দেখে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগি আদিত্যনাথ কথা বলেছেন গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মকর্তা, ব্লক উন্নয়ন কর্মকর্তা, পশু কর্মকর্তাদের সঙ্গে। আট জনকে বরখাস্তও করেছেন।

তবে বিজেপি নেতাদের মতে, প্রধানমন্ত্রী শুধু সাম্প্রতিক সঙ্কট মোকাবিলায় সাংসদদের শামিল করতে চাইছেন না। ভোটে জেতার পর সাংসদরা পাঁচ বছর নির্বাচনী কেন্দ্রে মুখ দেখান না বলে অভিযোগ আসে। সে কারণেও এ ধরনের নির্দেশনা। এতে সাংসদদের জনপ্রিয়তা বজায় থাকবে, আবার সংঘও খুশি হবে।

আন্তর্জাতিক শীর্ষ খবর