সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিরোধীদলীয় নেতা জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের দ্বিতীয় জানাজা জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় সম্পন্ন হয়েছে। কিছুক্ষণ পর তাঁর মরদেহ কাকরাইলের দলীয় কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে নেতাকর্মীরা সাবেক এই রাষ্ট্রপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
আজ সোমবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর দ্বিতীয় জানাজা শেষ হয়।
গতকাল রবিবার সকালে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান এরশাদ। গতকালই বাদ জোহর ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট কেন্দ্রীয় মসজিদে তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর তাঁর মরদেহ সিএমএইচের হিমঘরে রাখা হয়।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মারা যাওয়ার পর পরই দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা দলের পক্ষ থেকে সিএমএইচে গণমাধ্যমের কাছে এরশাদের ব্যাপারে পরবর্তী কর্মসূচি আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরেন। এ সময় সেখানে জাতীয় পার্টির ঊর্ধ্বতন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এরশাদের মরদেহ রাখা হবে দলীয় নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য। বাদ আসর বায়তুল মোকাররমে এরশাদের আরো একটি জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ ফের সিএমএইচের হিমঘরে রাখা হবে।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা জানিয়েছেন বৃষ্টি ও খারাপ আবহাওয়ার কারণে আজ এরশাদের মরদেহ রংপুর নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে মঙ্গলবার হেলিকপ্টারে করে এরশাদের মরদেহ রংপুর নিয়ে যাওয়া হবে।
বাদ জোহর রংপুর জেলা স্কুলের মাঠে এরশাদের শেষ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানাজার স্থান পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানান মহাসচিব।
মঙ্গলবারই এরশাদের মরদেহ ঢাকায় ফিরিয়ে এনে সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হবে।
বুধবার রাজধানীর গুলশানের আজাদ মসজিদে এরশাদের কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে।