নতুন ধরণের আন্ত:মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইলের (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সত্যতা নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।
এখনও নামকরণ না করা এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রতিপক্ষ ন্যাটোর মোতায়েন করা ইউরোপীয় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পরাস্ত করতে সক্ষম বলে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে দেশটির বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্স।
পরীক্ষার সময় ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি ‘ডামি ওয়ারহেড’ বহন করে ৬ হাজার কিলোমিটার পথ সফলতার সঙ্গে পাড়ি দেয় বলে জানায় সংস্থাটি।
এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা রাশিয়ার এ ধরণের দ্বিতীয় প্রচেষ্টা বলে জানা গেছে। গত বছরের সেপ্টেমবার মাসে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রথম প্রচেষ্টাটি ব্যর্থ হয়েছিলো।
বুধবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র কর্নেল ভাদিম কোভাল জানান, প্লেসেটস উৎক্ষেপণ এলাকা থেকে স্থানীয় সময় সকাল ১০১৫ মিনিটে নিক্ষিপ্ত হয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি সাইবেরিয়ার কামচাটকার কুরা রেঞ্জের নির্দিষ্ট টার্গেটে সঠিকভাবে আঘাত হানে।
শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে ক্ষেপণাস্ত্রটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজের গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে বলে জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব ইউরোপে মোতায়েন ন্যাটোর ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জবাব হিসেবে রাশিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো।
ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের কারণ হিসেবে ন্যাটো ইরানের হুমকিকে উল্লেখ করলেও রাশিয়া এই অজুহাত প্রত্যাখ্যান করে আসছে। তাদের দাবি মূলত রাশিয়াকে উদ্দেশ্য করেই এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করেছে ন্যাটো। পাশাপাশি ন্যাটোর এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইউরোপের সামরিক ভারসাম্যকে নষ্ট করছে অভিযোগ করে রাশিয়া ইউরোপে ন্যাটোর ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের হুমকি দিয়েছে।