মহাসড়কে ধীরগতির যানের জন্য পৃথক লেন

মহাসড়কে ধীরগতির যানের জন্য পৃথক লেন

সরকারি কলেজগুলোকে পুনরায় নিজ নিজ অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যায় লাগাম টানতে বলেছেন। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দিয়েছেন।

রাজধানীর শেরেবাংলানগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে বিদ্যমান মহাসড়কগুলোতে ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য পৃথক লেন নির্মাণ করা হবে। নতুন করে যেসব মহাসড়ক হবে, সেখানেও ধীরগতির যানবাহন চলাচলের জন্য আলাদা লেন থাকবে। এতে করে দুর্ঘটনার পাশাপাশি যানজটও কমে আসবে। রাজধানীর জিরো পয়েন্টসংলগ্ন এলাকায় বিদ্যমান ডাক বিভাগের জেনারেল পোস্ট অফিস (জিপিও) কার্যালয় আগারগাঁওয়ে স্থানান্তরের পর সেখানে একটি বিশাল সবুজ মাঠ করার কথাও বলেন তিনি।

১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আগে সরকারি কলেজগুলো নিজ নিজ অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীভুক্ত ছিল। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেওয়া হয়। বিপুলসংখ্যক কলেজ ও শিক্ষার্থীর চাপ, সেশনজটসহ নানা কারণে দায়িত্ব পালনে বছরের পর বছর ধরে হিমশিম খাচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় ২০১৪ সালের ৩১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে গিয়ে সরকারি কলেজগুলোকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশনার আলোকে সাতটি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়।

নতুন অর্থবছরের প্রথম একনেক সভায় গতকাল সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন শিরোনামের একটি প্রকল্প অনুমোদনের সময় উঠে আসে সরকারি কলেজগুলোকে ফের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার বিষয়টি। একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, ‘একনেকে প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি সুদূরপ্রসারী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যাও নির্ধারণ করে দিতে বলেছেন।’

সভায় প্রধানমন্ত্রী গবেষণার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘শুধু দেখি বিশ্ববিদ্যালয়ে বড় বড় ভবন হয়। কিন্তু গবেষণা দেখি না।’ বড় বড় দালান নির্মাণের পাশাপাশি গবেষণার ওপর জোর দিতে বিশ্ববিদ্যালগুলোকে জোর তাগিদ দেন তিনি।

গতকালের একনেক সভায় সাত হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ১৩টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ব্যয় হবে ছয় হাজার ৪১৪ কোটি টাকা। বাকি অর্থ পাওয়া যাবে উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে।

চসিকে ৪৬৬ কিমি সড়কে এলইডি বাতি হবে চট্টগ্রাম থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, একনেক সভায় প্রায় ২৬১ কোটি টাকা ব্যয়সাপেক্ষ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) এলইডি বাতি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। এর আওতায় নগরের ৪৬৬ কিলোমিটার সড়ক এলইডির আওতায় আসবে। এতে ২০ হাজার ৬০০ এলইডি বাতি বসানো হবে।

প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে গতকাল ঢাকায় অনুষ্ঠিত একনেকের সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোহাও উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্প অনুমোদনের পর বিকেলে চসিকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পরিবেশবান্ধব, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও টেকসই প্রযুক্তির এলইডি বাতি দিয়ে চট্টগ্রাম নগরের সড়ক আলোকিত করার উদ্যোগ নেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। ইতিমধ্যে রাজস্ব তহবিল থেকে ১৬ কিলোমিটার ও প্রকল্পের মাধ্যমে ৫৮ কিলোমিটার সড়ক এলইডির আওতায় আনা হয়েছে। নতুন প্রকল্পে এলইডি বাতির ক্ষেত্রে পাঁচ বছর রক্ষণাবেক্ষণ খাতে খরচ থাকবে না।

নগরের ৪১ ওয়ার্ডে সড়ক আলোকায়ন ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন কাজ শীর্ষক এই প্রকল্পে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২৬০ কোটি ৮৯ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ গত জুন থেকে শুরু হয়ে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত। প্রকল্পটি বৈদেশিক ঋণ সহায়তা ও সরকারের নিজস্ব অর্থে বাস্তবায়িত হবে। এর মধ্যে ভারত সরকার ঋণ দিচ্ছে ২১৪ কোটি ৪৬ লাখ ৮২ হাজার টাকা এবং জিওবি থেকে আসবে ৪৬ কোটি ৪৩ লাখ ৫ হাজার টাকা।

Featured বাংলাদেশ শীর্ষ খবর