ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ এবং সম্ভবত ক্যারিয়ারের সর্বশেষ কয়েকটি ম্যাচ খেলতে নেমে রেকর্ড গড়েই যাচ্ছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। আজ মঙ্গলবার ওল্ড ট্রাফোর্ডে বিশ্বকাপের প্রথম সেমি-ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে উইকেটকিপারের দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়েছেন তিনি। ক্রিকেট ইতিহাসে এই কীর্তি আর কোনো ক্রিকেটার করে দেখাতে পারেনি।
সেমিফাইনালের এই ম্যাচ দিয়ে দ্বিতীয় কোন ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৩৫০ বা ততোধিক ওয়ানডে খেলার কৃতিত্বও দেখিয়েছেন তিনি। এর আগে লিটল মাস্টার শচীন টেন্ডুলকার ভারতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৩৫০এর বেশি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। আর ধোনি ভারত জাতীয় দলের হয়ে ৩৪৭টি এবং এশিয়া একাদশের হয়ে তিনটিসহ মোট ৩৫০ ওয়ানডে ম্যাচে অংশ নিয়েছেন। যার মাধ্যমে দশম ক্রিকেটার হিসেবে ৩৫০ বা ততোধিক ম্যাচ খেলার মাইল ফলক অর্জন করেছেন তিনি।
অবশ্য ধোনির চেয়ে অনেকদূর এগিয়ে রয়েছেন শচীন । তার খেলা ওয়ানডে ম্যাচের সংখ্যা ৪৬৩টি। সর্বোচ্চ ওয়ানডে ম্যাচ খেলা তালিকার শীর্ষে আছেন শচীন। ৪৪৮টি ম্যাচে অংশ নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার মাহেলা জয়বর্ধনে। এরপরে রয়েছেন যথাক্রমে সানাথ জয়সুরিয়া (৪৪৫), কুমার সাঙ্গাকারা (৪০৪), শহিদ আফ্রিদি (৩৯৮), ইনজামাম উল হক (৩৭৮), রিকি পন্টিং (৩৭৫), ওয়াসিম আকরাম (৩৫৬) ও মুত্তিয়া মুরালিধরন (৩৫০)।
শ্রীলঙ্কান উইকেটকিপার কুমার সাঙ্গাকারা এ পর্যন্ত ৩৬০টি ম্যাচে উইকেটকিপারের দায়িত্ব পালন করলেও ৪৪টি ওয়ানডে ম্যাচে তিনি অংশ নিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে। তবে ধোনি ৩৫০টি ম্যাচেই উইকেটকিপার হিসেবেই অংশ নিয়েছেন। যে কারণে তিনিই স্থান পেয়েছেন রেকর্ড বইয়ের শীর্ষে।
এই ৩৫০টি ম্যাচের মধ্যে ২০০টি ম্যাচে ধোনি খেলেছেন অধিনায়ক হিসেবে। ক্রিকেটের ইতিহাসে তৃতীয় এবং ভারতের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ ম্যাচে নেতৃত্ব দেয়ার ইতিহাস গড়েছেন তিনি। কয়েকদিন আগে ৩৮ বছরে পা রাখা ধোনির অবসরের গুঞ্জনে এখন সরব হয়ে উঠেছে গণমাধ্যম। অনেকেই বলছেন, বিশ্বকাপ শেষেই হয়তো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে পারেন এই ক্ষুরধার মস্তিস্কের ক্রিকেটার।