দলের পারফরম্যান্সে তুষ্ট নয় কেউই। দশ দলের আসরে হয়েছে অষ্টম। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার পারফরম্যান্স আরো খারাপ। ৮ ম্যাচে পেয়েছেন মাত্র ১ উইকেট। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ বাদে আর কোনো ম্যাচেই পূরণ করতে পারেননি নিজের ১০ ওভারের বোলিং কোটা।
বিশ্বকাপ মিশন শেষে আজ (রোববার) দেশে ফিরেছে মাশরাফির নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল। বিমানবন্দরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক। যেখানে নিজের পারফরম্যান্সের সমালোচনা মেনে নেওয়ার সঙ্গে দলের ব্যর্থতার দায়ও নিজের কাঁধেই নিয়েছেন তিনি।
বিশ্বকাপের পর তাকে নিয়ে তৈরি হওয়া সমালোচনাকে অমূলকভাবে দেখছেন কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে মাশরাফি বলেন, ‘না, অবশ্যই না। প্রথমত অধিনায়ক হিসবে প্রত্যাশা অনুযায়ী ভালো না খেললে সেটার সমালোচনা ও পুরো দলের দায়ভার আমাকে নিতে হবে। সেটাই স্বাভাবিক। আমার জায়গায় অন্য কেউ থাকলেও নিতে হতো। আমি অবশ্যই পুরো দায়ভার নিচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘একই সময়ে সমালোচনা হচ্ছে বা হবে। এটা সারাবিশ্বে বা সারাদেশে যেকোনো সিরিজ বা টুর্নামেন্টের পর হয়, বিশেষ করে বিশ্বকাপের পর হওয়া খুব স্বাভাবিক। আবার এটাও বলব, কিছু জিনিস আমাদের পক্ষে গেলে অন্যরকম জায়গায় থাকতে পারতাম।’
সেমিফাইনাল খেলার প্রত্যাশা নিয়ে খেলতে গিয়ে বাংলাদেশ হয়েছে অষ্টম। দুই-তিন জন ছাড়া টুর্নামেন্ট জুড়ে কেউই ছিলেন না ধারাবাহিক। দলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে মাশরাফি কী ব্যাখ্যা দিলেন?
টাইগার অধিনায়ক বলেন এভাবে, ‘প্রতিটা ম্যাচই (গুরুত্বপূর্ণ ছিলো)…পাঁচ যাওয়ার সুযোগ ছিল সেটা দেখেন শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। তার মানে আমরা শেষ ম্যাচ ফিনিশ করতে পারলে পাঁচ হতাম। কিন্তু দেখেন আপনাদের বা সাধারণ মানুষ বা সবার আশা ছিল চারের মধ্যে থাকা। চারে না থাকতে পারলেও শেষ ম্যাচ জিতলে আমরা পাঁচে থাকতাম। সেটা হয়তো বা আলাদা জিনিস হতো। আবার এটা দেখেন আমরা যদি চারে না থাকতে পারি, এই বিশ্বকাপের অর্থ এখানেই শেষ।’