সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের ১৪তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের গেজেট কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে সহকারী শিক্ষকদের বেতন কেন ১১তম গ্রেডে প্রদান করা হবে না রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত। এই রুল প্রাথমিক ও গণশিক্ষ মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মরত সাড়ে তিন লাখ শিক্ষকের জন্য প্রযোজ্য হবে বলে জাগো নিউজকে জানিয়েছেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া।
সিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া আরও জানান, যেহেতু প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে কর্মরত শিক্ষকদের নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল মন্ত্রণালয়, আর এখন দেশে সাড়ে তিন লাখের মতো সহকারি শিক্ষক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষকতা করছেন, সেহেতু এই রুলটি সকল শিক্ষকের জন্য প্রযোজ্য হবে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে মহাপরিচালক, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মহাহিসাব রক্ষকসহ (কন্টোলার জেনারেল) সংশ্লিষ্টদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি এফ.আর. এম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কে.এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া এবং তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম রাহুল ও অ্যাডভোকেট সোহরাওয়ার্দী সাদ্দাম। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ গেজেট জারি করা হয়েছিল। ওই গেজেট চ্যালেঞ্জ করে এবং ১১তম গ্রেডে তাদের বেতন কেন নির্ধারণ করা হবে না এই মর্মে নির্দেশনা চেয়ে গত ২৭ মে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কর্মরত ৩০ জন সহকারী শিক্ষক।
রিটকারীরা হলেন- নোয়াখালী সদর উপজেলার মোহাম্মদ সামছুদ্দিন, আলমগীর হোসেন, মো. শহিদ উদ্দিন, মো. আ. হামিদ, হাতিয়া উপজেলার মো. ফিরোজ উদ্দিন, বেগমগঞ্জ উপজেলার তারেক ছালাউদ্দিন, কবিরহাট উপজেলার মো. আ. করিম, আবু সাইদ, চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার মো. ওমর খাইয়ুম বাগদাদী, লক্ষীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার মো. মিজানুর রহমান, মো. ফিরোজ আলম, নেত্রকোনার জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলার মো. রোজেল মিয়া, নড়াইল জেলার সদর উপজেলার প্রবীন কুমার বিশ্বাসসহ সর্বমোট ৩০ জন সহকারি শিক্ষক।