ঢাকা জজ কোর্টে ভাঙচুর ও বিশৃঙ্খলার ঘটনায় বিএনপি সমর্থক দুই শ’ আইনজীবীর নামে ঢাকার কোতোয়ালী থানায় প্রতীক্ষিত মামলাটি মঙ্গলবার এ রিপোর্ট লোখ পর্যন্ত (রাত সাড়ে ৯টা) দায়ের হয়নি।
থানাসূত্র জানায়, মামলাটি এখনও প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে।
জানা গেছে, মঙ্গলবারের মধ্যে মামলাটি হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে কোনো কোনো সংবাদ মাধ্যম মঙ্গলবার বিকালেই সংবাদ প্রকাশ করে যে, পুরনো ঢাকার কোতোয়ালী থঅনায় এ ধরণের একটি মামলা হয়েছে।
এদিকে, মামলাটি এখনও পর্যন্ত দায়ের না হলেও মামলা করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার সম্ভাব্য বাদী জেলা জজ আদালতের পেশকার রুহুল আমিন।
তিনি বলেন, “মামলা করার জন্য এজাহার থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে মামলা দায়ের হয়েছে কিনা জানি না।”
কোতোয়ালী থানার ওসি (প্রশাসন) সালাহউদ্দিন খান জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণাদিসহ মামলাটি দায়ের করা হবে।
উল্লেখ্য, বিচার বিভাগের ওপর আওয়ামী লীগ সরকারের হস্তক্ষেপ ও দলীয়করণের অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার আদালত বর্জনের কর্মসূচি পালন করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ঢাকা ইউনিটের বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এ সময় তারা বিক্ষুব্ধ হয়ে ঢাকা জজ কোর্টে ভাঙচুর চালান।
বিক্ষোভ মিছিলের সময় সংগঠনটির আইনজীবীরা কালো পতাকা নিয়ে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত, মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত, মহানগর দায়রা জজ আদালত ও জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে মিছিল করেন।
বিক্ষোভ মিছিলটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলা দিয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন আইনজীবী মহানগর দায়রা জজ জহুরুল হকের এজলাসে ঢোকার চেষ্টা করেন।
তখন আদালতে বিচার কাজ চলছিল।
পুলিশ তাদের এজলাসে ঢুকতে বাধা দিলে তারা বিচারকের উপস্থিতিতেই দরজায় লাথি মারেন। এরপর তারা মহানগর দায়রা জজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও নাজিরের কক্ষের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় জানালার কাঁচ ভাঙচুর করেন।
এছাড়া আইনজীবীরা ঢাকা জেলা জজ আদালতের নতুন ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আব্দুল মজিদের আদালত কক্ষের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তার স্টেনোগ্রাফারের কক্ষের জানালা ভাঙচুর করেন।
এসময় তারা সরকার বিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে জেলা জজ ও মহানগর দায়রা আদালতের মধ্যবর্তী স্থানে তারা সমাবেশ করেন। সমাবেশে তারা ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ বিরোধী দলের কারাবন্দী শীর্ষ নেতাদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান।