শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর করার পক্ষে ক্ষমতাসীন জোটের সংসদ সদস্য ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি সংসদের আগামী অধিবেশনে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব উত্থাপন করতে চান। এই আগ্রহের কথা লিখিতভাবে জানিয়ে সংসদ সচিবারয়ে ইতোমধ্যে ওই প্রস্তাবটি জমা দিয়েছেন তিনি।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, ঢাকা-৮ আসন থেকে নির্বাচিত ওই সংসদ সদস্য তার প্রস্তাবে চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬২ বছর করার কথা বলেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, ‘সংসদের অভিমত এই যে, সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসর গ্রহণের বয়সসীমা ৬২ বছর করা হোক।’ প্রস্তাবটি আগামী ২৫ এপ্রিল সংসদ অধিবেশনে উত্থাপনের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রস্তাবটি আলোচনা শেষে হ্যাঁ-না ভোটে প্রস্তাবটি গ্রহণ বা বাতিল হবে। প্রস্তাবটি গৃহীত হলে ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে সরকার।
সূত্র জানায়, রাশেদ খান মেনন আরো দু’টি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব জমা দিয়েছে। প্রস্তাবের এক’টি হলো- ‘সংসদের অভিমত এই যে, গ্রামীণ ক্ষেতমজুর নির্মাণকর্মীসহ সবস্তরের শ্রমজীবী মানুষের জন্য পেনশন স্কিম চালু করা হোক।’ আরেকটি হলো, ‘সংসদের অভিমত এই যে, ব্যাংকিংখাতে আর্থিক নৈরাজ্য ও অব্যবস্থাপনা দূরীকরণার্থে উপায় উদ্ভাবন ও সুপারিশ গ্রহণের জন্য ব্যাংকিং কমিশন গঠন করা হোক।’
উল্লেখ্য, সরকারী চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর ও অবসরের বয়সসীমা ৬৫ বছর করার দাবিতে দেশের যুব সমাজ দীর্ঘ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। দশম সংসদে বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার আলোচনাও হয়েছে। আর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্র্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একাধিক বৈঠকে সরকারী চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে।