২০০২ সালে নিজেদের তৈরি করা ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) আইনেই ফেঁসে গেছে বিএনপি।
আইনটি তৈরি করার পর তখন আওয়ামী লীগ এটিকে কালো আইন আখ্যা দিয়ে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছিল।
প্রাথমিকভাবে এ আইনের মেয়াদ ছিল ২০০৪ সাল পর্যন্ত। এরপর বিএনপি সরকার দুই বছর করে আইনটির মেয়াদ পর্যায়ক্রমে ২০০৬, ২০০৮ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০১০ সাল পর্যন্ত বাড়ায়।
এরপর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০১০ সালে ২ বছর ও চলতি বছরে আরও ২ বছর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ায়। এর ফলে আইনটি ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানোর মামলায় বিএনপির শীর্ষ নেতাদের চার্জশিট গ্রহণের শুনানিকালে আসামিদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক দাবি করে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, “আইনটি আমিই করেছিলাম। আমি জানি আইনটির কোথায় কি আছে। অভিযোগ আমলে নেওয়ার আগে আসামিদের আত্মপক্ষ সর্মথনের সুযোগ দিতে হবে। আসামিদের আদালতে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করতে হবে।“
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণের শুনানিকালে মওদুদ আহমদের এই স্বীকারোক্তিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বেশ উপভোগ করেছেন।
এসময় রাষ্ট্রপক্ষের কয়েকজন আইনজীবী মন্তব্য করেন, “নিজেদের তৈরি আইনেই ফেঁসে গেছে বিএনপি।“
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে বিএনপি সরকারের সময়ে এ আইনটি করার সময় ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ আইনমন্ত্রী ছিলেন।
এ আইনের অধীনে দেওয়া মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সব মিলিয়ে জোটের ৩৯ জন নেতা বর্তমানে কারাগারে আছেন।