দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, এখন বাংলাদেশ সম্ভাবনাময়: প্রধানমন্ত্রী

দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, এখন বাংলাদেশ সম্ভাবনাময়: প্রধানমন্ত্রী

বিদেশে বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি এবং বর্তমান সরকারের তিন বছরে অর্জিত সাফল্যগুলো তুলে ধরতে প্রবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশ এখন আর দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ নয়। বাংলাদেশ এখন একটি সম্ভাবনাময় রাষ্ট্র। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের পরিচালিত কার্যক্রমের ফলেই তা সম্ভব হয়েছে।”

বাংলাদেশ সময় সোমবার সকালে গণভবন থেকে এক ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে নিউ ইয়র্কে প্রবাসীদের উদ্দেশে হাসিনা এ কথা বলেন। নিউ ইয়র্কের কুইন্স প্যালেস মিলনায়তনে ‘সমুদ্র বিজয়’ উপলক্ষে স্থানীয় সিটি আওয়ামী লীগ এই ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করে। নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় রাত ৮টা থেকে প্রায় ১০ মিনিট কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা শুরুতেই সিলেটে তেল পাওয়ার সংবাদ জানান প্রবাসীদের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছি এবং দুর্নীতবাজদের বিচারও শুরু হয়েছে। এই বিচারের প্রক্রিয়া নস্যাৎ করতে বিরোধী দল নানা অপতৎপরতা চালাচ্ছে।”

“কোনো ভাবেই কেউ এই বিচার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না,” বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, “দুর্নীতিবাজ এবং একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে বিরোধী দল ও তাদের সহযোগীরা বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে। দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রবাসীদের তা প্রতিহত করতে হবে।”

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে প্রবাসীদের অবদানের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকারের যত অর্জন হয়েছে তার প্রতিটিতেই প্রবাসীদের আন্তরিকতার ছাপ রয়েছে।”

“বাংলাদেশ এখন সন্ত্রাস আর জঙ্গিবাদের দেশ নয়। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মডেল এবং সম্ভাবনাময় একটি রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতি পাচ্ছে। বাংলাদেশের ভাগ্য নিয়ে আর যাতে কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেজন্য প্রবাসীদের সজাগ থাকতে হবে।”

২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশে পরিণত করতে প্রবাসীদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান তিনি।

উৎসবে উপস্থিত ওয়েস্ট নিউ ইয়র্ক সিটির মেয়র ড. ফেলিক্স ই রোক প্রধানমন্ত্রীকে তার সুবিধামতো সময়ে সফরের আমন্ত্রণ জানান।

নিউ ইয়র্ক সিটি আওয়ামী লীগের সভাপতি কমান্ডার নূরন্নবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নিজাম, নিউ ইয়র্ক সিটি আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী এবং উপদেষ্টা খোরশেদ খন্দকার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

বাংলাদেশ