প্রথম লেগে যে উয়েস্কাকে গোলবন্যায় (৮-২ ব্যবধানে) ভাসিয়েছিল বার্সেলোনা, ফিরতি দেখায় আজ তাদের জালে একটি গোলও দিতে পারল না বার্সা। তারকা খেলোয়াড়দের বিশ্রামে রেখে খেলতে নেমে পয়েন্ট খুঁইয়েছে আর্নেস্তো ভালভার্দের দল। লা লিগার ২০ নম্বর দল উয়েস্কার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করেছে বার্সা।
মেসির রক্তাক্ত মুখের ছবি আর ভালভার্দের একই দল খেলিয়ে যাওয়ার যে অভ্যাস, বার্সেলোনা সমর্থকেরা যে আশঙ্কা করেছিলেন সেটি সত্যি না হলেও উয়েস্কার বিপক্ষে জিততে পারার হতাশা নিশ্চয়ই কাজ করছে তাদের মধ্যে। তবে সমর্থকদের স্বস্তি, স্কোয়াডে না থাকা মেসি পুরো সেরে উঠেছেন। আগামী মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগটা খেলতে বাধা নেই।
কোয়ার্টার ফাইনালের এই লেগ নিয়েই বার্সার যত দুশ্চিন্তা। চিরশত্রু রিয়াল মাদ্রিদ যখন টানা তিন শিরোপা জেতার উৎসব করেছে, এই টুর্নামেন্টে বার্সা টানা তিনবার বাদ পড়েছে কোয়ার্টার থেকে! একটা স্নায়ুর চাপ তো থাকেই। গত ম্যাচে ওল্ড ট্র্যাফোর্ড থেকে ১-০ গোলে জিতে এলেও স্বস্তি নেই। রোমা-দুঃস্বপ্ন যে এখনো তাড়া করে ফেরে। গতবার ৪-১ গোলে প্রথম লেগ জিতে রোমে খেলতে গিয়ে বার্সেলোনা হেরেই এসেছিল! তখন বেশ সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন ভালভার্দে।
তা থেকে ভালভার্দে খুব একটা শিখেছেন, তা বলার উপায় নেই। এই বার্সেলোনা এখনো এতটাই মেসিনির্ভর, অধিনায়ককে না নামালে বার্সেলোনা প্রায় আর্জেন্টিনা হয়ে যায়। ফলে লিগের ২ নম্বর দল অ্যাটলেটিকোর চেয়ে ১১ পয়েন্টে এগিয়ে থাকার পরও উয়েস্কার বিপক্ষে মেসিকে যে ভালভার্দে নামিয়ে দেবেন না, এই নিশ্চয়তা পাওয়ার একটাই উপায় ছিল। সেই দল ঘোষণা করে বার্সা সমর্থকদের স্বস্তি দিয়েছেন ভালভার্দে। আক্রমণভাগে মেসি-সুয়ারেজ কেউই নেই। মাঝমাঠের দুই সৈনিক রাকিতিচ ও বুসকেটসও বিশ্রাম পেয়েছেন। কিন্তু দেম্বেলে আর ম্যালকমরা নিজেদের প্রমাণের সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি।
উয়েস্কার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের মধ্যে বার্সেলোনা সমর্থকেরা আর একটি সুখবর পেয়েছেন। লিওনেল মেসির নাকের হাড়ে চিড় ধরল কি না, এমন একটা শঙ্কা তো গত দুই দিনে ছিল। সেটি কেটে গেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কাল বার্সার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মেসির নাক ঠিকঠাকই আছে।