মাস্টার্স ছাড়াই রাহুল এমফিল করেন কীভাবে, প্রশ্ন জেটলির

মাস্টার্স ছাড়াই রাহুল এমফিল করেন কীভাবে, প্রশ্ন জেটলির

শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে বিতর্কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির হয়ে জোরাল প্রশ্ন তুললেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। স্মৃতিকে বাঁচাতে গিয়ে জেটলি সরাসরি নিশানা করলেন রাহুল গান্ধীকে।

শনিবার এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জেটলি লেখেন, স্মৃতি ইরানির ডিগ্রি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। কিন্তু ‘পাবলিক অডিট’ হলে রাহুল গান্ধীর পায়ের তলায় মাটি থাকবে না। উনি নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে দাবি করেন এমফিল করেছেন। কিন্তু তার মাস্টার্স পাশেরই ডিগ্রি নেই। তাহলে উনি এমফিল করেন কীভাবে!

উল্লেখ্য, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় স্মৃতি ইরানি হলফনামা দিয়ে জানান, তিনি স্নাতক নন। ২০১৪ সালে দেওয়া এক হলফনামায় তিনি অবশ্য জানান দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ওপেন লার্নিং থেকে ১৯৯৪ সালে বাণিজ্যে স্নাতক করেছেন। ২০০৪ সালেও তার দেওয়া হলফনামাতে নিজেকে স্নাতক বলে দাবি করেছিলেন স্মৃতি।

অন্যদিকে, রাহুল গান্ধীর শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। এ নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে ওঠায় বিষয়টি গড়ায় কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত। ২০০৯ সালে বিশ্ববিদ্যালের পক্ষ থেকে জানানো হয়, রাহুল গান্ধী ট্রিনিটি কলেজের ছাত্র ছিলেন। সেখান থেকেই তিনি ডেভলপমেন্ট স্টাডিজে এমফিল পাস করেন ১৯৯৫ সালে।

সেখানেই প্রশ্ন অরুণ জেটলির। যার স্নাতকোত্তর পাস করার কোনো রেকর্ড নেই। তিনি এমফিল করেন কীভাবে? অবশ্য এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত রাহুল গান্ধীর পক্ষ থেকে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।

আন্তর্জাতিক