সমাধান বের হবে, আশা মজিনার

সমাধান বের হবে, আশা মজিনার

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি নিয়ে এখন বিপরীতমুখী অবস্থানে থাকলেও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের একটি সমাধান বাংলাদেশের রাজনীতিকরা বের করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা।

দুই দেশের দুই প্রধান রাজনৈতিক দলকে সংলাপে বসার পরামর্শও পুনরায় দিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি আয়োজিত ‘যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথোপকথন’-এ সোমবার বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন মজিনা।

মতানৈক্যের মধ্যে দুই প্রধান দলকে সংলাপে বসার পরামর্শ দিলেও কবে তাদের মধ্যে মতৈক্য হবে, সে বিষয়ে এই মুহূর্তে কোনো ধারণা না থাকার কথা জানান যুক্তরাষ্ট্রের দূত।

“আমার আশা, শিগগিরই হোক। যত দ্রুত হবে, ততই ভালো,” বলেন তিনি।

সংবিধান সংশোধনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বিলোপ হওয়ায় দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে। তবে সংবিধান সংশোধন করে আবার পুরনো অবস্থায় ফিরে যাওয়ার দাবি বিরোধী দলের, যা নাকচ করে আসছে সরকারি দল।

দুই প্রধান দলের এই বিপরীত অবস্থানের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন এই মাসের শুরুতে ঢাকা সফরে এসে সংলাপের কথা বলে যান। এরপর ইউরোপীয় ইউনিয়নও রাজনৈতিক মতপার্থক্য দূর করতে সংলাপের কথা বলে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাইলে মজিনা বলেন, “এ নিয়ে আমার কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই।

“আমরা মনে করি, গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই পথ খুঁজে বের করবে, যাতে গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ তৈরি হয়, নাম যাই হোক না কেন।”

তবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক মতপার্থক্য দূর করতে হিলারি ক্লিনটনের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনের কোনোই সম্ভাবনা নেই বলে জানান তিনি।

“এর কোনো প্রয়োজনই নেই। এই সমস্যা স্থানীয়, সমাধানও স্থানীয়ভাবেই করতে হবে,” বলেন মজিনা।

হরতালের মতো কর্মসূচির সমালোচনা করে মজিনা বলেন, এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ সম্পর্কে ভুল সঙ্কেত পায়।

“আমি হরতালের পক্ষে নই। কারণ এতে বিনিয়োগকারীরা নিরুৎসাহিত হয় এবং এর কোনো প্রয়োজনও নেই,” বলেন তিনি।

বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীসহ নিখোঁজ সবার সন্ধান বের করার দায়িত্ব সরকারের, বলেন যুক্তরাষ্ট্রের দূত।

ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীদের হাতে বাংলাদেশির নিহতের ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই ধরনের সহিংসতা বন্ধ হওয়া উচিত।

মজিনার আলোচনায় রাজনীতির পাশাপাশি বাণিজ্যের বিষয়টিও উঠে আসে।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, এর সমাধান রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই হবে।

এ দাবিতের সপক্ষে কংগ্রেসের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের দূতাবাসকে সক্রিয় করার পরামর্শ দেন যুক্তরাষ্ট্রের দূত।

বাংলাদেশ