সুদানের গণবিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে সেনাবাহিনী উৎখাত এবং গ্রেফতার করেছে।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বৃহস্পতিবার টিভিতে এক ঘোষণায় বলেছেন, একটি সামরিক কাউন্সিল দু”বছর মেয়াদের এক অন্তর্বর্তী প্রশাসন পরিচালনা করবে এবং তার পর নতুন সংবিধানের আওতায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
গত ডিসেম্বর মাস থেকেই বশিরের বিরুদ্ধে জনতার বিক্ষোভ চলছিল এবং এসময় সহিংসতায় বেশি কিছু লোক নিহত হয়েছে।
উনিশশো উননব্বই সালে ব্রিগেডিয়ার ওমর আল বশির আরো কিছু ইসলামপন্থী সেনাকর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে সুদানের সর্বময় ক্ষমতা দখল করেন।
তিনিই হচ্ছেন দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট। ক্ষমতাসীন হওয়ার পর তাকে উৎখাতের চেষ্টা এর আগেও হয়েছে – তবে তা সফল হয় নি।
গত বছর ডিসেম্বর মাস থেকে যে গণবিক্ষোভ শুরু হয় – তা প্রথমে ছিল দেশটির অর্থনৈতিক দুরবস্থা ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির প্রতিবাদে।
তবে ধীরে ধীরে তা মি. বশিরের বিরুদ্ধে আন্দোলনে পরিণত হয়।
তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল আওয়াদ ইবনে আউফ টিভিতে বলেন, দেশে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল এবং জনগণ গরিব থেকে আরো গরিব হয়ে পড়ছিল। এই বিক্ষোভে যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের জন্য তিনি দু:খ প্রকাশ করেন।
জেনারেল ইবনে আউফ বলেন, ওমর আল বশিরকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর একটি সামরিক কাউন্সিল দু’বছরব্যাপী অন্তর্বতী প্রশাসন চালাবে, এবং তার পর নতুন সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হবে।
এ ছাড়া এক মাসব্যাপী কারফিউ এবং সব সীমান্ত বন্ধ রাখার কথাও ঘোষণা করা হয়। বলা হচ্ছে, ৭৫ বছর-বয়স্ক মি. বশিরকে গ্রেফতার করে গোপন স্থানে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে।
তবে বার্তা সংস্থা রয়টারের খবরে বলা হচ্ছে, খার্তুমের বিক্ষোভকারীরা অভ্যুত্থান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। একটি গ্রুপ বলছে, অন্তর্বর্তী সামরিক সরকার প্রতিষ্ঠার এই ঘোষণা তারা প্রত্যাখ্যান করছে, কারণ তারা বেসামরিক লোকদের দিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার চায়, সামরিক বাহিনীর লোকদের নয়।