ভোট শেষে পুনর্নির্বাচনের দাবি কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থীর

ভোট শেষে পুনর্নির্বাচনের দাবি কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থীর

লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফার ভোটের পর কোচবিহারে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের অবস্থান বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। রাত পর্যন্ত সেই অশান্তি চলে। একদিকে অবস্থানে অনড় বিজেপি প্রার্থী এবং তার সমর্থকরা, অন্যদিকে পুলিশ-প্রশাসনও তাকে বোঝানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

নিশীথ প্রামাণিকের অভিযোগ, যে সব বুথে রাজ্য পুলিশ মোতায়েন ছিল, সেখানে অবাধে জাল ভোট দিয়েছে তৃণমূল। তাই দেড় শতাধিক বুথে পুনর্নির্বাচন করতে হবে। অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলেরও পাল্টা দাবি, বেশ কয়েকটি বুথে বিজেপি জাল ভোট দিয়েছে। রাতে অবশ্য রিটার্নিং অফিসারের আশ্বাসে অবস্থান তুলে নেন বিজেপি প্রার্থী।

জেলা বিজেপি সভাপতি মালতী রাভা রায় বলেছেন, ধর্ণা তুলতে না পেরে জেলার রিটার্নিং অফিসার ফোন করেন অবজার্ভারকে। পুনরায় নির্বাচনের দাবি খতিয়ে দেখতে অবজার্ভার কাল বৈঠকে বসছেন। জেনারেল অবজার্ভার, স্পেশাল অবজার্ভার এবং অন্য নির্বাচন কর্মকর্তারা ওই বৈঠকে থাকবেন। পুনর্নির্বাচন করা হবে কিনা সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।

২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রথম দফায় পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। দুই কেন্দ্রেই সকালের দিকে বেশ কিছু বুথে ইভিএম খারাপ এবং বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তি ছাড়া ভোটগ্রহণ মোটামুটি শান্তিপূর্ণই হয়েছে। তবে তার মধ্যেও কোচবিহারের দিনহাটা, সীতাই, শীতলকুচি এলাকায় ভোটগ্রহণ ঘিরে বৃহস্পতিবার দিনভর উত্তেজনা ছিল। কোথাও কোথাও তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির পরিস্থিতিও তৈরি হয়।

কিন্তু বিজেপির অভিযোগ, দিনহাটা, সীতাই, শীতলকুচির অধিকাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন রাজ্য পুলিশের কর্মীরা। কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকার সুযোগ নিয়ে অবাধে জাল ভোট দিয়েছে তৃণমূল। প্রকৃত ভোটারদের বুথে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে। কোথাও আবার ভোটারদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আর রাজ্যের পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখেছে।

দিনভর টানটান পরিস্থিতির রেশ আরো বাড়ে সন্ধ্যায়। কোচবিহার কেন্দ্রের নির্বাচন পরিচালনার জন্য অস্থায়ী কার্যালয় তৈরি হয়েছে কোচবিহার শহরের পলিটেকনিক কলেজের মাঠে। সন্ধ্যায় দলবল নিয়ে সেখানে হাজির হন বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। সেখানে তখন ছিলেন জেলাশাসক তথা রিটার্নিং কর্মকর্তা। তার কাছে ১৬৬টি বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানাতে থাকেন নিশীথ এবং তার দলবল।

আন্তর্জাতিক