আগামী ১২ এপ্রিল আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পেতে যাচ্ছে ডার্ক হর্স কমিকস চরিত্র হেলবয় অবলম্বনে নির্মিত সুপারহিরো ছবি ‘হেলবয়’। একই দিনে ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সেও মুক্তি পাবে ছবিটি। নেইল মার্শালের পরিচালনায় ‘হেলবয়’ ছবির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ডেভিড হার্বার। ব্লাড কুইন নিমুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিয়া জভোভিচ। এছাড়াও ছবিটির বিভিন্ন চরিত্রে আছেন ইয়ান ম্যাকশেন, শাশা লেন ও পেনোলিপ মিশেল ও ডেভিড ডি কিম।
হেলবয় সিরিজের তৃতীয় সিনেমা এটি। কমিক বই ‘ডার্কনেস কলস’, ‘দ্য ওয়াইল্ড হান্ট’ ও ‘দ্য স্ট্রম অ্যান্ড দ্য ফারি’ অবলম্বনে ‘হেলবয়’ সিরিজের তৃতীয় সিনেমাটির চিত্রনাট্য তৈরি করা হয়েছে। ‘হেলবয়’ সিনেমায় ব্লাড কুইন নিমুসি চরিত্রে অভিনয় করেছেন হলিউডের বিখ্যাত অভিনেত্রী, মডেল ও গায়িকা মিলা জোভোভিচ। সিনেমায় ব্লাড কুইনের চরিত্রটি বেশ গুরুত্ব পেয়েছে। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী মিলা জোভোভিচ বলেন, ‘হেলবয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখা নিমুয়ি চরিত্রটি মূলত আন্ডারওয়ার্ল্ডের রানির, যে সকল দানবের মা হলেও পৃথিবীটাকে সুন্দর, সমৃদ্ধ ও সৌহাদ্যপূর্ণ রাখতে সদা সচেষ্ট। এ চরিত্রে অভিনয় করার অভিজ্ঞতা সত্যিই দারুণ ছিলো।’ অলৌকিক এবং লৌকিক ঘটনাসমূহের মাঝে আটকে পড়া হেলবয়কে দেখা যাবে এই ছবিতে। এখানে স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা হিসেবে আভির্ভুত হবেন হেলবয়। তার পরিচয় হয় নিমুই নামের ব্লাড কুইনের সাথে, যে পুরনো অতীতের প্রতারণার প্রতিশোধ নেয়ার নেশায় মত্ত। তার হাত ধরেই হেলবয় নিয়োজিত হয় অলৌকিক শক্তি থেকে মানুষকে বাঁচানোর লড়াইয়ে।
এর আগে ‘হেলবয়’ সিরিজের দুটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। ২০০৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হেলবয়’ সিনেমাটি বক্স অফিসে বেশি সফলতা না দেখাতে পারলেও সমালোচকদের দৃষ্টিতে ভালো সিনেমার ক্যাটাগরিতেই পড়েছিল। রটেন টমেটোসের মতো বিখ্যাত সাইটে ১৯৬টি রিভিউয়ের ভিত্তিতে ৮২ শতাংশ ও মেটাক্রিটিকে ৩৭টি রিভিউয়ের ভিত্তিতে ৭২ শতাংশ রেটিং পেয়েছিল সিনেমাটি। পরবর্তীতে ২০০৭ সালের দিকে রটেন টমেটোর এক জরিপে ‘সেরা কমিক বুক ফিল্ম অ্যাডাপ্টেশন’-এ মোট ৯৪টি ফিল্মের মধ্যে এটি ১৩তম নির্বাচিত হয়েছিল। ২০০৮ সালে মুক্তি পায় ‘হেলবয় টু: দ্য গোল্ডেন আর্মি’। আগের ছবির মতো, এটার গল্পও মাইক মিগনোলার ‘হেলবয়’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছিল। প্রায় ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাজেটের ওপর নির্মিত এই সিনেমাটি বক্স অফিস থেকে প্রায় ১৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছিল। সিনেমাটির চরিত্রগুলো তাদের অভিনয় দক্ষতার জোরে বেশ প্রশংসা অর্জন করেছিল।
সিনেমাটি ‘সেরা মেকআপ’ শাখায় অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীতও হয়েছিল। রোটেন টমেটোস থেকে ৮৬% ও মেটাক্রিটিক থেকে ৭৮% রেটিং প্রাপ্ত সিনেমাটি সমালোচকদের কাছ থেকেও পজিটিভ রিভিউ পেয়েছিল। তবে এবারের ছবিটিকে আগের ছবিগুলোর চেয়ে অনেকখানি এগিয়ে রাখছেন বিশ্লেষকরা। চোখ ধাঁধানো দৃশ্য, গতিময়তা, চরিত্র ও গল্প নির্মাণে নতুনত্ব মিলিয়ে এ ছবিকে বেশ পরিপক্ক হিসেবে দেখছেন তারা। যার ফলে সাফল্যের দিক এটি যে এগিয়ে থাকবে তাতে সন্দেহ নেই কারো।