ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফার নির্বাচনের ঠিক দু’দিন বাকি। এই সময়ে কোচবিহারের পুলিশ সুপার (এসপি) অভিষেক গুপ্তকে সরিয়ে দিল ভারতের নির্বাচন কমিশন। নতুন এসপির দায়িত্বে অমিত কুমার সিংহ।
মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে অমিত কুমারকে বিকেল ৫টার মধ্যে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। গত শুক্রবার কলকাতা ও বিধাননগরের সিপি সহ চার পুলিশ কর্মকর্তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশন।
সিপি ও এসপির অপসারণে শনিবার নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে খোলা চিঠি দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তবেনির্বাচন কমিশন মমতার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ ভিত্তিহীন। বরং কমিশন চাইলে যে কাউকে যে কোনো সময় বদলি করে দিতে পারে। নির্বাচন কমিশনের সেই ক্ষমতা রয়েছে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে মমতাকে জানিয়ে দেওয়া হয়, এ নিয়ে মন্তব্য করা তার ঠিক হয়নি।
চিঠিতে নির্বাচন কমিশন আরো জানায়, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন পরিচালনার জন্য রাজ্য সরকার তাদের নির্দেশিকা মেনে চলবে বলে আশা করা হচ্ছে। রবিবার এই নির্দেশিকার পর মঙ্গলবার রাজ্যের আরেক এসপিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।
তৃণমূলের তরফ থেকে এই বদলির তুমুল নিন্দা করা হয়। কারণ কোচবিহারে নরেন্দ্র মোদির সভার দিন বিজেপি নেতা মুকুল রায় ঘোষণা দেন যে, এসপি গুপ্তার বদলি আসন্ন।
তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এই বদলি লজ্জার। যে নির্বাচন কমিশন নিরপক্ষে নির্বাচনের কথা বলে, তারা এমন সিদ্ধান্ত নিলে বোঝা যায় তারা কতটা নিরপেক্ষ।