অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক কল আদান-প্রদানে ব্যবহৃত সিমের জন্য অপারেটরদেরই গুণতে হবে জরিমানার অর্থ। শিগগির এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।
সোমবার বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশনের (বিটিআরসি) ভিওআইপি প্রতিরোধে এক বিশেষ সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব এসেছে।
ওই বৈঠকের পর বিটিআরসি চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়া আহমেদ বলেন, “অবৈধভাবে ভিওআইপি’র কাজে ব্যবহৃত হয়েছে এ ধরনের সিমের ওপর জরিমানার বিষয়ে শিগগির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
বাংলাদেশে বর্তমানে ভিওআইপি লাইসেন্স নেই। বিটিআরসি’র ভিওআইপি সার্ভিস প্রোভাইডার লাইসেন্স নামে একটি প্রস্তাবিত খসড়া চূড়ান্ত করার জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে।
সিম প্রতি কি পরিমাণ জরিমানা আদায় করা হতে পারে জানতে চাইলে জিয়া আহমেদ বলেন, “কমিশনের বৈঠকেই জরিমানার পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে।”
মোবাইল ফোন অপারেটররা অবৈধ ভিওআইপি’র সঙ্গে সরাসরি যুক্ত না থাকলেও কেন এই জরিমানার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “প্রতিটি সিম নিবন্ধন করে বিক্রি করার নিয়ম রয়েছে, তবে অনেক ক্ষেত্রেই তা মানা হচ্ছে না। সঠিকভাবে নিবন্ধন করে সিম বিক্রি করলে অবৈধ ভিওআইপি অনেকাংশেই প্রতিরোধ করা সম্ভব।”
বিটিআরসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অবৈধ ভিওআইপি বন্ধে অভিযানে গত তিন বছরে প্রায় ১০ লাখ সিম বন্ধ করা হয়েছে। এর মধ্যে বিটিআরসির বিশেষ অভিযানে ছয় লাখ এবং বাকিগুলো অপারেটররা নিজ উদ্যেগে বন্ধ করে দিয়েছে।
“অপারেটররা নজরদারি বাড়ালে সিম দিয়ে অবৈধ ভিওআইপি কমে আসবে। তাছাড়া জরিমানার বিধান করলে অপারেটররাও আরো সতর্কতা অবলম্বন করবে,” বলেন জিয়া আহমেদ।
বর্তমানে বাংলাদেশে ছয়টি মোবাইল অপারেটর রয়েছে। গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, এয়ারটেল, রবি, সিটিসেল ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিটক।
বিটিআরসি’র হিসাব অনুযায়ী, এপ্রিল মাসে বৈধ আন্তজার্তিক কলের পরিমাণ গড়ে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন কোটি মিনিট। কিন্তু এ কলের পরিমাণ আগে ছিল গড়ে ৫ কোটি মিনিটের বেশি। বর্তমানে বৈধভাবে প্রতি মিনিট আন্তজার্তিক কলে তিন মার্কিন সেন্ট দেশে আসে।