জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে খেলতে গিয়ে ‘হত্যার হুমকি’ পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল দলের খেলোয়াড়েরা। গতকাল রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০১৯-এর হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল খেলা শুরুর ১৫ মিনিট আগে খেলা পরিচালনা কমিটির কাছে মৌখিকভাবে এ অভিযোগ জানিয়ে মাঠ ছাড়েন তাঁরা।
গতকাল বিকেল চারটায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতার সেমিফাইনাল খেলা হওয়ার কথা ছিল। এতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখোমুখি হওয়ার কথা ছিল স্বাগতিক জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যান্ডবল দলের ব্যবস্থাপক জাকারিয়া রহমান বলেন, নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট আগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলোয়াড়েরা মাঠে যান। এ সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হল থেকে কয়েকজন যুবক বেরিয়ে পিস্তল দেখিয়ে বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দলনেতা ও জাতীয় দলের হ্যান্ডবল খেলোয়াড় আশিক খান ও ছাকি সামির ইমন যদি খেলতে নামেন, তবে তাঁদের ক্যাম্পাস থেকে আর বের হতে দেওয়া হবে না। এতে দলের সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দলনেতা আশিক খান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী আমাদের গত শনিবার থেকে উত্ত্যক্ত করছে। সেদিন বিকেলে আমাদের মাঠে অনুশীলন করতে দেয়নি। আজ (গতকাল) যখন আমরা মাঠে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছি, তখন কিছু শিক্ষার্থী পিছু নেয়। তারা খেলার মাঠে গিয়ে আমাকে ডেকে ভালো খেলতে নিষেধ করে।’
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন-উর-রশীদ আশকারি মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের খেলা পরিচালক ও টিম ম্যানেজার আমাকে জানিয়েছেন যে এ রকম একটি ঘটনা ঘটেছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে তারা কী করেছে সে বিষয়ে এখনো কিছু জানি না।’
তবে হুমকির কোনো ঘটনা ঘটেছে কি না সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) হাবিবা ইয়াসমীন। তিনি বলেন, ‘আদৌ ঘটনাটা ঘটেছে কি না, এটি নিয়ে আমাদের সন্দেহ আছে। এ রকম যদি কোনো ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে খেলোয়াড়েরা আমাদের সাথে দেখা না করে আগেই চলে গেলেন কেন? তাঁদের কর্মকর্তারা আগেই খেলোয়াড়দের পাঠিয়ে দিয়ে তারপর তাঁরা আমাদের জানিয়েছেন তাঁরা খেলতে আগ্রহী না।’