বনানীর এফ আর টাওয়ারে আগুন লাগার পর উদ্ধার অভিযানে যোগ দেন ফায়ারম্যান সোহেল রানা। আগুন নেভানো ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারে নিজের জীবনকে তুচ্ছ করেন তিনি। একপর্যায়ে নিজেই গুরুতর আহত হন। তারপর চলেই গেলেন না ফেরার দেশে।
ফায়ারম্যান সোহেল সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর শাকিল নেওয়াজ জানান, বাংলাদেশ সময় রোববার দিবাগত রাত ২টা ১৭ মিনিটে সোহেল মারা যান।
ঢাকার কুর্মিটোলা ফায়ার স্টেশনে ফায়ারম্যান হিসেবে কর্মরত ছিলেন সোহেল।
গত ২৮ মার্চ এফ আর টাওয়ারে ভয়াবহ আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকাজে যোগ দেন সোহেল।
ফায়ার সার্ভিসের উঁচু ল্যাডারে (মই) উঠে এফ আর টাওয়ারের আগুন নেভানো ও আটকে পড়া ব্যক্তিদের উদ্ধারকাজ করছিলেন সোহেল। একপর্যায়ে তাঁর শরীরে লাগানো নিরাপত্তা হুকটি মইয়ের সঙ্গে আটকে যায়। তিনি মই থেকে পিছলে পড়ে বিপজ্জনকভাবে ঝুলছিলেন। সেখানে আঘাতে তাঁর একটি পা ভেঙে যায়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। দেশে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সোহেলের অবস্থা অপরিবর্তিত থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য গত শুক্রবার তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়।
সোহেলের ভগ্নিপতি জসীমউদ্দিন জানিয়েছিলেন, দেশে চিকিৎসাধীন থাকাকালে তাঁর (সোহেল) অবস্থা ভালো ছিল না। তিনি সংজ্ঞাহীন ছিলেন। তাঁর শরীর রক্ত গ্রহণ করতে পারছিল না।
এফ আর টাওয়ারে আগুনের ঘটনায় সোহেলসহ ২৭ জনের মৃত্যু হলো। এ ঘটনায় আহত হন অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।