জনগণের জন্য আরো সহজলভ্য ও গ্রহণযোগ্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০১৯ উপলক্ষে এক বাণীতে তিনি এ আহবান জানান।
আজ রবিবার নানা আয়োজনে পালিত হচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস পালনের উদ্যোগকে রাষ্ট্রপতি স্বাগত জানান। বিশ্বব্যাপী মানুষের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এবারের বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সমতা ও সংহতি নির্ভর সর্বজনীন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা’ অত্যন্ত যথার্থ হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা মানুষের সার্বিক জীবনযাত্রার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- বাস্তবায়ন করছে। অবকাঠামো উন্নয়ন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও নিয়োগ, অত্যাধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জামাদি সংগ্রহ ও ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে দেশে চিকিৎসা সেবার মান যথেষ্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রুতিতে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে, কমেছে মাতৃ ও শিশু মৃত্যু হার।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার জাতিসংঘ ঘোষিত এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছে। মা ও শিশুর টিকা প্রদানের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ভেকসিন এন্ড ইমুনাইজেশন (গ্যাভি) থেকে পুরস্কৃত হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাফল্যের সাথে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে। ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্যসেবার সকল স্তরে এসব সেবাকে জনগণের জন্য আরো সহজলভ্য ও গ্রহণযোগ্য করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যেতে হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দেশে স্বাস্থ্যখাতে সাফল্যের ধারা অব্যাহত থাকুক-বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে- এ প্রত্যাশা করি। তিনি ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস ২০১৯’ এর সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। সূত্র : বাসস।