শিল্পমন্ত্রীর দুঃখ ব্যবসায়ীরা শিল্প মন্ত্রণালয়কে গুরুত্ব দেন না

শিল্পমন্ত্রীর দুঃখ ব্যবসায়ীরা শিল্প মন্ত্রণালয়কে গুরুত্ব দেন না

ব্যবসায়ীরা শিল্প মন্ত্রণালয়কে অনেক সময় গুরুত্ব দেন না বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া।

তিনি অনেকটা ক্ষোভ এবং দুঃখ নিয়ে ব্যবসায়ীদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে এ কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, ‘আপনারা বলেন শিল্প মন্ত্রণালয় আপনাদের অভিভাবক। কিন্তু অনেক সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন না। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে চলে যান। ভাবেন শিল্পমন্ত্রণালয় আবার কি? আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছেই যেতে পারি। কিন্তু আপনাদের মনে রাখতে হবে শিল্পমন্ত্রণালয় একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়।’

সোমবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলের এক অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। অনুষ্ঠানে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি একে আজাদও বক্তব্য রাখেন। কিন্তু শিল্পমন্ত্রীর ঐ বক্তব্যের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। তবে এফবিসিসিআই উর্ধ্বতন সহ-সভাপতি জসিম উদ্দিনসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

দেশিয় উৎপাদনকারী ও সিকেডি মোটরসাইকেল সংযোজনকারী এবং আমদানিকারকদের মধ্যে শুল্ক বৈষম্য দূরীকরণ বিষয়ে প্রস্তাবনা তুলে ধরতে এই আলোচনার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ মোটরসাইকেল উৎপাদনকারী অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশে ইলেক্ট্রনিক্স মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এর আয়োজন করে।

এসময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দেশিয় শিল্পায়নের পক্ষে। দেশের স্বার্থে দেশে শিল্পায়ন দরকার। আমি শিল্প নির্ভর অর্থনীতি চাই। তবে বৈষম্য করে নয়। সব শিল্পকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে। তা না হলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ব্যবসার জন্য বিভিন্ন নীতিমালা করে যাচ্ছি। এরইমধ্যে জাহাজ ভাঙা এবং নির্মাণ নীতিমালা করা হয়েছে। আগামী জুলাই মাসের মধ্যে অটোমোবাইলস নীতিমালা চূড়ান্ত করা হবে।’

দিলীপ বড়ুয়া বলেন, ‘শিল্পমন্ত্রী হিসেবে আমি ফ্রিজ, মোটরবাইক, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ মেশিনকে বিলাসি পণ্য মনে করি না। এগুলো এখন নিত্য দরকারি পণ্য হয়ে গেছে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মোটর সাইকেল উৎপাদনকারি এবং অ্যাম্বেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং উত্তরা মোটরস’র চেয়াম্যান মতিউর রহমান।

অর্থ বাণিজ্য