রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এদের মধ্যে ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনজন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে দুইজন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে একজন এবং ঘটনাস্থলে ১৩ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৭০ জন।
আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (ডিডি) দিলীপ কুমার ঘোষ। প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।
দিলীপ কুমার গণমাধ্যমকে বলেন, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বর্তমানে উদ্ধার কাজ চলছে। ভবনে কেউ জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় আটকা পড়ে আছে কি না, তা অনুসন্ধানে উদ্ধার টিম কাজ করে যাচ্ছে।
এদিকে কুর্মিটোলা হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী মোহাম্মদ রশীদ উন নবী জানান, অন্তত ৩০ জনকে তার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে নিরস চন্দ্র নামের এক শ্রীলঙ্কান নাগরিককে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েছিলেন। মৃত অবস্থায় তাকে হাসপাতাল আনা হয়।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটের চিকিৎসক ডা. সামন্তলাল সেন জানান, ঢাকা মেডিকল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ’র শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুকীকে (৩২) মৃত ঘোষণা করা হয়।
এছাড়া ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে রাখা আছে অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ।
এদিকে ইউনাইটেড হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা ডা. সাগুফা আনোয়ার কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন, ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনজন মৃত অবস্থায় পৌঁছায়। আর ২৩ জন আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। মৃত ব্যক্তিরা হলেন মামুন, মাকসুদুর ও মনির।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থাপিত বনানী থানার কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে, আমেনা মারা গেছেন অ্যাপোলো হাসপাতালে আর পারভেজ সাজ্জাদ বনানী ক্লিনিকে।
ঘটনাস্থলে নিহত হওয়া ১৩ জনের পরিচয় জানা যায়নি।