চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ সরবরাহকারীকে হত্যার হুমকি

চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ সরবরাহকারীকে হত্যার হুমকি

চকবাজারের চুড়িহাট্টায় অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ সরবরাহের অভিযোগ এনে একজনকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় আজ বুধবার সকালে চকবাজার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করা হয়েছে।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ অভিযোগ এনে রাজমহল হোটেলের মালিক মোহাম্মদ আজমকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিক মো. হাসান।

আরো জানা গেছে, দায়ের করা জিডিতে মোহাম্মদ আজম উল্লেখ করেছেন, ‘মো. হাসান, পিতা: মৃত ওয়াহেদ, মাতা: অজ্ঞাত, বাসা নম্বর ৬৪. নন্দকুমার দত্ত রোড, চুড়িহাট্টা, চকবাজার, ঢাকা-১২১১। এই ব্যক্তি তার মোবাইল নম্বর থেকে ২০ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমি (আজম) বাসায় থাকাকালীন ফোন করে। ফোনে সে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। সে আমার বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে বারবার বলতে থাকে। আমি তার কাছে কারণ জানতে চাইলে সে আমাকে অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ ও ছবি রেকর্ড হওয়ার বিষয়টির কথা বলেন।’

এ বিষয়ে মোহাম্মদ আজম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাকে গত ২০ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওয়াহেদ ম্যানশনের মালিক হাসান ফোন দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। আমাকে দেখে নেবেন, খেয়ে ফেলবেন- এ ধরনের আরও অনেক কথা বলেছেন। এরপর পরিবারের সঙ্গে আলাপ করে ২৫ মার্চ চকবাজার থানায় একটি জিডি করেছি। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।’

তিনি বলেন, ‘আমি এসব হুমকিতে ভয় পাই না। ভয়ের বয়স অনেক আগেই পার করে এসেছি।’

আজম বলেন, ‘আমি কাউকে কোনও ফুটেজ দেইনি। ঘটনার পর পুলিশ সব নিয়ে গেছে। তারপরও আমাকে হাসান দায়ী করছেন। তিনি এলাকার অনেককেই ফোন করে গালিগালাজ করছেন। আমি উপায় না পেয়ে জিডি করেছি।’

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) ইব্রাহীম খান বলেন, ‘জিডি হলে অবশ্যই থানার ওসি জানবেন। আমি বিষয়টির খোঁজ নিচ্ছি। আমরা অবশ্যই জিডি দায়েরকারীর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব। এ বিষয়ে আইনগত যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার আমরা সব করব।’

উল্লেখ্য, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় আশপাশের পাঁচটি ভবনে আগুন ধরে যায়। এতে নারী ও শিশুসহ ৭০ জন প্রাণ হারান।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর