দেশীয় চলচ্চিত্রের উষালগ্নের নায়িকা সুলতানা জামান আর নেই। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বোন শামীমা মাসুদের বাসভবনে ২০ মে রোববার সকাল সাড়ে আটটায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি… রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর। তিনি এক ছেলে, এক মেয়েসহ অনেক গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বাদ আসর নামাজে জানাজার পর ‘মাটির পাহাড়’খ্যাত এই অভিনেত্রীকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
ষাটের দশকের জনপ্রিয় নায়িকা সুলতানা জামান দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত ব্যাধি ও শারীরিক দুর্বলতায় ভুগছিলেন।
অভিনেত্রী সুলতানা জামানের আসল নাম সৈয়দা হোসনে আরা শরিফা বেগম, ডাকনাম মিনা। ১৯৪০ সালের ১০ আগস্ট ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৫৯ সালে ‘মাটির পাহাড়’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেছিলেন। তার স্বামী প্রয়াত চিত্রগ্রাহক ও পরিচালক কিউ এম জামান।
সুলতানা জামান অভিনীত চলচ্চিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো — মাটির পাহাড়, চান্দা, নতুন দিগন্ত, অনেকদিনের চেনা, জোয়ার এলো, জানাজানি, সাত রং, সোনার কাজল, উজালা, আবার বনবাসে রূপবান, জংলি ফুল প্রভৃতি।
১৯৭৮ সালে শারীরিক অসুস্থতার কারণে সুলতানা জামান চলচ্চিত্রে অভিনয় থেকে সরে আসেন। ‘তৃষ্ণা’ ছবির মাধ্যমে তিনি অভিনয় জীবন থেকে বিদায় নেন। অভিনয়ের পাশাপাশি সুলতানা জামান ‘ছদ্মবেশী’ ও ‘ভানুমতি’ নামে দু’টি ছবি প্রযোজনাও করেন। ‘ছদ্মবেশী’ ও ‘ভানুমতি’ নামে দু’টি ছবি প্রযোজনাও করেন।
সুলতানা জামান লেখালেখির সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। ‘সাগরের নীল চোখ’ নামে একটি উপন্যাস লিখেছেন তিনি। ২০১০ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে দেশীয় চলচ্চিত্রে অসামান্য অবদানের জন্য সুলতানা জামানকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়।