মিয়ানমারের সুপ্রিম কোর্টে রয়টার্সের সেই দুই সাংবাদিকের আপিলের শুনানি

মিয়ানমারের সুপ্রিম কোর্টে রয়টার্সের সেই দুই সাংবাদিকের আপিলের শুনানি

রোহিঙ্গা নিপীড়নের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মিয়ানমারে আটক হন বার্তা সংস্থা রয়টার্সের দুই সাংবাদিক। মঙ্গলবার তাদের আপিলের শুনানি হয়েছে মিয়ানমারের সুপ্রিম কোর্টে।

বর্তমানে রয়টার্সের আটক সাংবাদিক ওয়া লন এবং কিয়াও সোয়ে ও মিয়ানমারের কারাগারে বন্দি রয়েছেন। তাদের আটকের ঘটনায় বিশ্বব্যাপী মিয়ানমারের সমালোচনা হয়েছে। তার পরেও ওই সাংবাদিকদের ছেড়ে দেয়নি মিয়ানমার।

গত ১৫ মাস ধরে তারা কারাবাস করছেন। এর আগে ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে তাদের আটক করা হয়। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের গণহত্যার ব্যাপারে সেনাবাহিনীর জড়িত থাকার ব্যাপারে তারা তদন্ত প্রতিবেদন তৈরির চেষ্টা করছিলেন।

মিয়ানমার সরকারের পক্ষে এক আইন প্রণেতা বলেন, ওই দুই সাংবাদিকের কাছে এমন কিছু নথি পাওয়া গেছে, যা মিয়ানমার সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করবে এবং সেটা রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘন করাও বটে।

তবে ওই সাংবাদিকদের পক্ষের আইনজীবীর দাবি, তার মক্কেলদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণ হয়নি। সে কারণে তাদের মুক্তি দেওয়া উচিত। এর আগে জানুয়ারিতে তাদের আপিল খারিজ করে দেই হাইকোর্ট।

আটক দু’জনেরই শিশু কন্যা রয়েছে। ৩২ বছর বয়সী ওয়া লনের স্ত্রী গত বছরের ডিসেম্বরে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। তবে আটক থাকায় নিজের সন্তানকে কাছেও পাননি রয়টার্সের সাংবাদিক।

জানা গেছে, মঙ্গলবার শুনানির সময় ওই দুই সাংবাদিককে আদালতে হাজির করা হয়নি। এ ব্যাপারে মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো লিডার অং সান সুচি বলেছিলেন, তারা সাংবাদিক হওয়ার কারণে আটক হননি। বরং রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘনের জন্য আটক হয়েছেন।

তিনি আরো বলেছিলেন, যারা ভালো সাংবাদিক, তারা কখনোই আইন ভঙ্গ করেন না।

আন্তর্জাতিক