সালমা সবই জানতেন, বললেন হয়রানি করতে এই মামলা

সালমা সবই জানতেন, বললেন হয়রানি করতে এই মামলা

‘সাগর আগেই আমাকে দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়টা বলেছে। সাগর এটাকে দুর্ঘটনা উল্লেখ করে জানিয়েছিল এক বছর আগেই তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। আমারও যেহেতু আগে একটা বিয়ে হয়েছে, তাই তার অতীত নিয়ে আমি আগ্রহ দেখাইনি। কেননা এতে বিব্রত হতে পারে। সে আমার কাছে কিছুই গোপন করেনি।’

কথাগুলো বলছিলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মৌসুমী আক্তার সালমা। গত বছর ৩১ ডিসেম্বর সালমা ও সাগরের বিয়ে হয়। এর আগে ২০১১ সালে লালন কন্যা মৌসুমী আক্তার সালমার সঙ্গে শিবলী সাদিকের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল। এরপর ২০১৬ শিবলী সাদিকের সঙ্গে সালমার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।

প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়া দ্বিতীয় বিয়ে করায় সাগরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ধারায় মামলা করেছেন প্রথম স্ত্রীর পরিবার। সাগরের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতনের অভিযোগে মামলা এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আর মামলাটি দায়ের করেছেন প্রথম স্ত্রীর মা (শাশুড়ি)। মামলায় সাগরের বাবা সাখাওয়াত হোসেন এবং মা সুরাইয়াকেও আসামি করা হয়েছে। কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব‍্যুনাল-১ এই মামলা দায়ের করেছেন সাগরের প্রথম স্ত্রী পুষ্মীর মা দিলারা খানম।

মামলা নম্বর-২৫৪, ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এর ১১ (গ), ১১(গ)/৩০ ধারা। এ মামলায় সালমার দ্বিতীয় স্বামী সানাউল্লাহ নূরী ওরফে সাগর ও তার বাবা-মা কে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের জন্য ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পাঠিয়েছেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ এ.এইচ.এম. মাহমুদুর রহমান।

বাদি তার আর্জিতে উল্লেখ করেন, ২০১৪ সালের ৩ জুন সানাউল্লাহ নূরী সাগরের সঙ্গে তার কন্যা তাসনিয়া মুনিয়াত (পুষ্মী)’র সঙ্গে ২০ লাখ টাকা কাবিনমূল্যে বিয়ে হয়। ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ‘ল’ এর ছাত্রী তাসনিয়া মুনিয়াত (পুষ্মী) কে বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন ভাবে যৌতুকের জন্য সে চাপ দিতে থাকে এবং শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। তার মা দিলারা খানম তিন কিস্তিতে ১০ লাখ টাকা প্রদান করেন। সে টাকা দিয়ে সানাউল্লাহ নূরী সাগর লন্ডনে বারএট ল পড়ার জন্য ভর্তি হন।

সালমা আরও বলেন, সব সত্যই আমি বললাম। এখন কথা হচ্ছে, এক বছর আগে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়েছে। এখন এসে কিসের মামলা? সাগর একজন আইনজীবী। আইনের সব ঝামেলা দূর করেই সে আমাকে বিয়ে করেছে। তাছাড়া আমাদের বিয়ে হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর। এতোদিন পরে কেনো মামলা? এটা নেহায়েত হয়রানি ছাড়া আর কিছু্ই নয়।

সালমা বলেন, সাগর গত বছরের (২০১৮) সেপ্টেম্বরে লন্ডনে গেছে। আমি শুনেছি, তারা বলছে ৭ অক্টোবর সাগর লন্ডন গিয়ে আর দেশে ফিরছে না। কোনো সত্যতা তো পাচ্ছি না! দেশে না এলে ৩১ ডিসেম্বর কিভাবে আমাদের বিয়ে হয়েছে? এছাড়া একাদশ জাতীয় নির্বাচনে সে দেশে থেকে ভোট দিয়েছে।

সালমার স্বামী সাগর বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। সোমবার রাত সোয়া ৯টায় এ বিষয় নিয়ে স্বামীর সঙ্গে কথাও বলেছেন সালমা। এ বিষয় নিয়ে দুশ্চিন্তা না করতে সালমাকে আশ্বাস দিয়েছেন সাগর। দেশে এসে অচিরেই এসব সমস্যার সমাধান করবেন।

বিনোদন