রওশন জামির ১৯৭১ সালে যশোর জেলায় পাকিস্তানের প্রশাসক ছিলেন। পরে পাকিস্তান সরকারের ফেডারেল সেক্রেটারি হিসেবে অবসর নেন। সাংবাদিক তারিক খান ১৯৭১ সালে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে শেষ কার্গো দিয়ে পাকিস্তানে ফেরত যান। ১৯৭১ সালে মোয়াজ্জেম খান ছিলেন স্কুলছাত্র। বাবা ছিলেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট তাঁরা ছিলেন জেনারেল নিয়াজির প্রতিবেশী। আর তারেক ফাতাহ লেখক ও কলামিস্ট। তাঁরা খুব কাছ থেকে দেখেছেন মুক্তিযুদ্ধকে। মুক্তিযুদ্ধের সেই দিনগুলোর কথা তাঁরা বর্ণনা করেছেন। তাঁদের সেই অভিজ্ঞতার কথা নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছেন কানাডাপ্রবাসী নির্মাতা ফুয়াদ চৌধুরী। নাম ‘ক্ষমাহীন নৃশংসতা’।
‘ক্ষমাহীন নৃশংসতা’ প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে ফুয়াদ চৌধুরী জানান, এই চার পাকিস্তানির বর্ণনায় উঠে এসেছে বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠীর বৈষম্যমূলক আচরণ, নিপীড়ন, শোষণ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিয়ে মিথ্যাচার আর মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের দ্বারা সংঘটিত বাঙালি নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, গণহত্যা ও লুটপাটের ঘটনা। এসবই রয়েছে প্রামাণ্যচিত্রটিতে।
ফুয়াদ চৌধুরী আরও জানান, এই চার পাকিস্তানি বিভিন্ন সময় বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর নির্মম অত্যাচারের কথা প্রতিবাদী কণ্ঠে তুলে ধরেছেন।
প্রামাণ্যচিত্রটি ফুয়াদ চৌধুরী তৈরি করেন ২০১৮ সালে। প্রযোজনা করেছেন আমান উল্লাহ চৌধুরী। জানা গেছে, মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দীপ্ত টিভিতে আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটায় প্রচারিত হবে প্রামাণ্যচিত্র ‘ক্ষমাহীন নৃশংসতা’।