নতুন তেলক্ষেত্রের সন্ধান, বাপেক্সের ছড়ানো ভ্রান্তি!

নতুন তেলক্ষেত্রের সন্ধান, বাপেক্সের ছড়ানো ভ্রান্তি!

সিলেটের কৈলাশটিলা ও হরিপুরের পুরনো ২টি ফিল্ডে নতুন তেল স্তর সন্ধানের দাবি নিয়ে ভ্রান্তি ছড়িয়েছে রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কোম্পানি বাপেক্স।

রোববার প্রেট্রোবাংলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর দাবি করেন, ‘দেশে এই প্রথম তেলক্ষেত্র আবিষ্কার হলো।’

কিন্তু সাংবাদিকরা তাকে স্মরণ করিয়ে দেন, ১৯৮৬ সালে হরিপুর ও ১৯৮৯ সালে কৈলাশটিলায় তেলের সন্ধান পাওয়া যায়।

এমনকি চেয়ারম্যানের সরবরাহ করা কাগজেই লেখ‍া আছে, হরিপুরে ১৯৮৭-৯৪ সাল পর্যন্ত ৫ লাখ ৪৪ হাজার ব্যারেল তেল উত্তোলন করা হয়।

সাংবাদিকরা এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আগে কখনও অফিসিয়ালি ঘোষণা করা হয়নি।’

এ প্রসঙ্গে জ্বালানি বিশেষজ্ঞ বদরুল ইমাম বলেন, ‘দেশে প্রথম তেলক্ষেত্র আবিষ্কার করার দাবি সত্য নয়। তবে ৮৬ সালে হরিপুর তেলক্ষেত্র আবিষ্কারের পরে বিষটিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। বাপেক্স তেলক্ষেত্রটি আবিষ্কার করলেও তা অন্য একটি কোম্পানিকে দেওয়া হয়। তখন তারা কয়েক বছর তেল উত্তোলন করে ফেলে রেখে যায়। নতুন করে উত্তোলনের উদ্যোগ নেওয়ায় সাধুবাদ দেওয়া যায়।’

খনিজ সম্পদের ক্ষেত্রে কূপ খনন করার আগে প্রমাণিত মজুদ দাবি করা যায় কিনা এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ড. হোসেন মনসুর দাবি করেন, ওই দু’টি ফিল্ডে গ্যাসের পাশাপাশি তেলের প্রমাণিত মজুদ রয়েছে ১৩৭ মিলিয়ন ব্যারেল। যার মধ্যে ৪০ শতাংশ হারে উত্তোলন করা হলে ৫৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উত্তোলন সম্ভব।

তবে এ প্রসঙ্গে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান তার যুক্তিতে যথেষ্ট ছেলেমানুষির পরিচয় দিয়েছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিদেশি বড় বিশেষজ্ঞরা আমাকে বলেছেন, এই পরিমাণ তেল না থাকলে আমরা (ওই বিশেষজ্ঞ) চাকরি ছেড়ে দেব।’

মূল্যায়ন কূপ খননের বিষয়ে হোসেন মনসুর বলেন, ‘কৈলাশটিলায় ১টি মূল্যায়ন কূপ ও ৩টি উন্নয়ন কূপ ও হরিপুরে একটি মূল্যায়ন কূপ ও দু’টি উন্নয়ন কূপ খনন করা হবে।’

মূল্যায়ন কূপ খনন করা হয় মজুদের পরিমাণ জানার জন্য। বাপেক্স যদি পরিমাণ নিশ্চিত হয়েই থাকে তাহলে কেন আবার মূল্যায়ন কূপ খনন করা হবে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান।

বাংলাদেশ