‘ঢাকাকে টাইম বোমায়’ পরিণত না করতে র‌্যাব ডিজির আহ্বান

‘ঢাকাকে টাইম বোমায়’ পরিণত না করতে র‌্যাব ডিজির আহ্বান

রাসায়নিক পদার্থের গোডাউন রেখে ‘ঢাকাকে টাইম বোমায়’ পরিণত না করতে কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেছেন, কেমিক্যালের কারণে এক সময় পুরান ঢাকা টাইম বোমায় রূপ নিয়েছিল। যে কারণে পরপর দুটি বড় দুর্ঘটনা ঘটল। তৃতীয়বার যেন এ দুর্ঘটনা না ঘটে। ঢাকাকে টাইম বোমায় পরিণত করবেন না।

আজ শনিবার সকালে রাজধানীর বকশীবাজার কারা কনভেনশন হলে র‍্যাব-১০ কর্তৃক আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পুরাতন ঢাকার আবাসিক এলাকা থেকে কেমিক্যাল, প্লাস্টিক ও অন্যান্য ঝুঁকিপূর্ণ দাহ্য পদার্থের কারখানা ও গোডাউন অপসারণ নিয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়।

র‌্যাব ডিজি বলেন, সরকার চায় এই এলাকায় (পুরান ঢাকা) আর দাহ্য পদার্থের ব্যবসা না হোক। তাই টাস্কফোর্সের উদ্যোগে তা সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ পাচ্ছি, কেউ কেউ এসব নিজের বাসায় আত্মীয়ের বাসায় রাখছেন। পুরান ঢাকাকে সেফ করতে গিয়ে দাহ্য পদার্থ ছড়িয়ে পুরো ঢাকাকে যেন টাইম বোমায় পরিণত না করা হয়।

বেনজীর আহমেদ বলেন, সমস্যা দুই দিক থেকেই। এসব যদি রাখার জায়গা না থাকলে আপনারা কেমিক্যাল নিয়ে কোথায় যাবেন? কিন্তু এটা রাখতে গিয়ে যদি সারা ঢাকা শহরে ছড়িয়ে ফেলেন তাহলে তা পুরো ঢাকার সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। এক সময় পুরান ঢাকা ছিল টাইম বোমা। সেই কেমিক্যাল ছড়ালে পুরো ঢাকা শহর টাইম বোমায় পরিণত হবে। সেটা করা যাবে না।

এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে র‌্যাব ডিজি বলেন, আমি মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করব, পুরান ঢাকার কেমিক্যাল ব্যবসায়ীদের উজালা ম্যাচ ফ্যাক্টরি ও ঢাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরির যে ল্যান্ড আছে সেটা ভাড়া নেন। আমাদের যারা ব্যবসায়ী তারা নিজ উদ্যোগে ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন। এটা করলে দুই মাসের মধ্যেই সাময়িক সমস্যার সমাধান হবে।

তিনি আরো বলেন, আমরা আফসোস করছি নদী শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এটাও তো ঠিক যে নদী শুকিয়ে যাওয়ায় জমি পাচ্ছি। সেটা বন্দোবস্ত করুন। ম্যাচ ফ্যাক্টরির জমি ভাড়া নেন। একশ’ দেড়শ’ একর নেন। ব্যবসায়ী ভাইদের বিপাকে ফেলানো আমাদের কাজ না। তাদের ব্যবসার নিরাপদ জোন করা সম্ভব।’

দাহ্য পদার্থ সরিয়ে নেওয়া ব্যবসায়ীদের অভিনন্দন জানিয়ে বেনজীর আহমেদ বলেন, আমরা কোনো প্রতিপক্ষ না। আজকে দেশ এই জায়গায় এসেছে আপনাদের (ব্যবসায়ী) জন্য। আমরা প্রশাসন, পলিটিসিয়ান, পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সবাই কাজ করি আপনাদের জন্য।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপ-কমিশনার (ডিসি লালবাগ) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল হাসনাত, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদ সভাপতি আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ কেমিক্যাল অ্যান্ড ফারফিউমারি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসাইন প্রমুখ।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর