ভারতের লোকসভা নির্বাচনের আগে হীরা ব্যবসায়ী নীরব মোদি গ্রেপ্তারের পর স্বস্তিতে রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংকের কাছ থেকে নেওয়া ঋণের টাকা শোধ না করার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কয়েকদিন আগেই লন্ডনের একটি আদালত নীরব মোদির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। আর্থিক জালিয়াতির মামলায় নীরব মোদিকে ভারতে ফেরত পাঠানোর জন্য লন্ডনের আদালতে আবেদন করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। প্রতারক ব্যবসায়ীকে দেশে ফেরাতে জোর তৎপরতা শুরু করেছিল সিবিআই। সিবিআই এর আবেদনের ভিত্তিতে ইন্টারপোলও নীরব মোদির বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিশ জারি করেছিল।
৪৮ বছর বয়সী ভারতীয় এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে পিএনবি’র থেকে নেওয়া ১৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে। কয়েকদিন আগেই চেহারা বদলে ফেলা নীরব মোদির খোঁজ পেয়েছিল ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য টেলিগ্রাফ’। তখনই জানা যায়, নাম বদলে লন্ডনে হীরার নতুন ব্যবসা শুরু করেছেন তিনি।
নীরব মোদিকে দেশ ছেড়ে পালাতে মোদি সরকার সাহায্য করেছিল বলে সরব ছিল বিরোধীরা। গ্রেপ্তার হলেও কবে নীরব মইদকে দেশে ফেরানো যাবে, তা নিয়ে সংশয় থাকছেই।
কয়েকদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত আরেক ঋণখেলাপি ব্যবসায়ী বিজয় মাল্যকেও ভারতে ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছিল। সবমিলিয়ে ভোটের আগে নীরব মোদি এবং বিজয় মাল্যকে নিয়ে বিরোধীদের জবাব দেওয়ার মতো অস্ত্র চলে এসেছে নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপির হাতে।