বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত চো তাই ইয়ং বলেছেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার। এ অংশীদারিত্ব ভবিষ্যতে আরো বাড়াতে চায় দক্ষিণ কোরিয়া সরকার।’
রোববার সচিবালয়ে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন।
দু’দেশের অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক সম্পর্কের অধিকতর উন্নয়নে কোরিয়া সরকারের সহযোগিতা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
জুন মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার জিয়ং-গি প্রদেশের ইলসানে অনুষ্ঠেয় দক্ষিণ কোরিয়ার গভর্নমেন্ট লেজিসলেশন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে লেজিসলেটিভ ইনফরমেশন অ্যাফেয়ার্সের দ্বিতীয় এশীয় ফোরামে আইনমন্ত্রীর অংশগ্রহণ নিয়ে এদিন আলোচনা হয় বলে সাক্ষাৎ শেষে আইনমন্ত্রী জানান।
সাক্ষাৎকালে আইনমন্ত্রী দ্বিতীয় ‘এশিয়ান ফোরাম অব লেজিসলেটিভ ইনফরমেশন অ্যাফেয়ার্স’ (এফোলিয়া) এ আমন্ত্রণের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার আইন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জিয়ং সুন-তাইকে ধন্যবাদ জানান এবং ফোরামের বৈঠকে অংশ নেওয়ার আগ্রহের কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করতে বিভিন্ন আইনের যুগোপযোগী সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
প্রচলিত বিচার ব্যবস্থার উন্নয়নে বর্তমান সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের ব্যাপারে তিনি রাষ্ট্রদূতকে জানান।
আইনমন্ত্রী বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতার জন্য দক্ষিণ কোরিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র চিহ্নিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রদূত বিচার ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রশংসা করে বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশের উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার। এ অংশীদারিত্ব বাড়াতে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার আগ্রহী।’