নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে হামালার ঘটনায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের বক্তব্যকে ‘নীচ’, ‘আক্রমণাত্মক’ ও ‘বেপরোয়া’ বলে বর্ণনা করেছে। ওই নিউজে ডাইনোসরের সঙ্গে এরদোগানের ছবি ব্যবহৃত হয়।
এর আগে মঙ্গলবার ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে হামলার ঘটনায় জোরালো প্রতিবাদ করেছিলেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান।
ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলার ঘটনায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগানের বক্তব্যের প্রতিবাদে এবার মুখরিত হলো সৌদি মিডিয়া। প্রিন্স বিন সালমানের ভাই তুর্কি বিন সালমান আল সৌদের মালিকানাধীন সংবাদ মাধ্যম আরবনিউজ এরদোগানের বক্তব্যকে ‘নীচ’, ‘আক্রমণাত্বক’ একইসঙ্গে ‘বেপরোয়া’ বলে বর্ণনা করেছে পত্রিকাটি।
এর আগে মঙ্গলবার মসজিদে হামলার জোরালো প্রতিবাদ করেছেন এরদোগান। আর সেই প্রতিবাদেরই প্রতিবাদে পুনরায় খবর ছাপলো সৌদি মিডিয়া।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, এরদোগানের বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতে অস্ট্রেলিয়া সমন জারি করেছে ক্যানবেরায় থাকা তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে। এ ছাড়া নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ ঘটনার ব্যাখ্যা জানতে আঙ্কারায় গিয়ে ফেস টু ফেস কথা বলবেন বলেও জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, গত মঙ্গলবার এরদোগান একে পার্টির নির্বাচনী সমাবেশে নিউজিল্যান্ডকে মৃত্যুর দণ্ডকে ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান। এতে তিনি বলেন, যদি নিউজিল্যান্ড তাকে শাস্তি দিতে না পারে তাহলে তুরস্ক তার শাস্তি দেবে।
তুরস্কের মুসলমান-বিদ্বেষী অস্ট্রেলিয়ানদের গালিপোলিতে তাদের পূর্বপুরুষের মতো কফিনে ফেরত পাঠানো হবে।
কিন্তু রিয়াদের আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশ্লেষকরা বলেছেন, এরদোগানের এমন বক্তব্য মুসলমানদের নেতৃত্ব বহন করে না।