মৎস্যখাতে এক বছরে আয় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা

মৎস্যখাতে এক বছরে আয় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা

ৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানি খাতে এক বছরে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা আয় হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে উত্থাপিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আলোচনাকালে মৎস্য চাষ সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এছাড়া মাছের উৎপাদন বাড়াতে জেলেদের মধ্যে চাল বিতরণ কার্যক্রম সম্প্রসারণের সুপারিশ করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। বৈঠকে কমিটি সদস্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরু, মোহাম্মদ শহিদ ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম (বকুল) ছোট মনির, নাজমা আকতার, শামীমা আক্তার খানম ও কানিজ ফাতেমা আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন অধিদপ্তর, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, একাডেমী ও উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। এসময় জানানো হয়, খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ২০১৮ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য আহরণে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ৩য় এবং স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ ৫ম স্থান অর্জন করেছে। মৎস্য ও মৎস্যজাত পন্য রপ্তানীর মাধ্যমে ২০১৭-১৮ সালে ৪ হাজার ৩১০ কোটি টাকা আয় হয়েছে। জিডিপিতে মৎস্য খাতের অবদান তিন দশমিক ৫৭ ভাগ।

আরো জানানো হয়েছে, গত ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে মৎস্য উৎপাদন ছিল ৪২ দশমিক ৭৭ লক্ষ মেট্টিক টন যার মধ্যে ইলিশের উৎপাদন ছিল ৫ দশমিক ১৭ লক্ষ মেট্টিক টন। একই অর্থ বছরে দুধ উৎপাদন ছিল ৯৪ দশমিক ৬ লক্ষ মেট্টিক টন এবং ডিম উৎপাদন ছিল এক হাজার ৫৫২ কোটি। এছাড়া মৎস্য গবেষণা ইন্সটিউট মাছের প্রজনন, জাত উন্নয়ন ও চাষাবাদ বিষয়ক এবং ব্যবস্থাপনা বিষয়ক এ পর্যন্ত ৬০টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর