প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা থাকছে না। এই স্তরের মূল্যায়ন করা হবে ধারাবাহিকভাবে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ভিত্তিতে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে বুধবার প্রথম আলোকে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম আল হোসেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে তাঁরা কাজ শুরু করেছেন। এনসিটিবিসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এই স্তরে কীভাবে মূল্যায়ন করা হবে, সেটি ঠিক করা হবে। তবে পরীক্ষা থাকছে না।
সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, ‘এ বছর থেকে শুরু করার চেষ্টা চলছে, না পারলে তা আগামী বছর থেকে বাস্তবায়ন করা হবেই। এ ছাড়া প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছর করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। বর্তমানে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা এক বছর মেয়াদি। যেটি শুরু হয় পাঁচ বছর প্লাস বয়সী শিশুদের। যখন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা দুই বছর মেয়াদি হবে, তখন সেটা শুরু হবে চার বছর প্লাস বয়সী শিশুদের জন্য।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, কিছুদিন আগে প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের ওপর চাপ কমানোর বিষয়ে নির্দেশ দেন। তিনি তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষার না রাখার জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন। মূলত এরপর কাজ শুরু করেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, জাতীয় শিক্ষানীতিতেও প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করতে বলা হয়েছে। কিন্তু তা এত দিন বাস্তবায়ন করা হয়নি। এখন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা না রাখার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।