ব্যালেন্স অব পেমেন্টের চাপ সামলাতে ৪০ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ

ব্যালেন্স অব পেমেন্টের চাপ সামলাতে ৪০ কোটি ডলার পাবে বাংলাদেশ

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আর্থিক লেনদেন বাড়াতে সোয়াপ চূড়ান্ত হয়েছে এবারের নেপালের সার্ক গর্ভনরের বৈঠকে। সেখানে ২ বিলিয়ন ডলারের তহবিল চূড়ান্ত করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেই তহবিল থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার পাবে। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি সই  করে যে কোনো সময় ওই তহবিলের টাকা তোলা যাবে, যা ব্যালেন্স অব পেমেন্টের চাপ সামলাতে ব্যবহার হবে।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক কনফারেন্স হলে আয়োজিত এক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

অর্থনৈতিক রিপোর্টারদের নিয়ে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থনৈতিক রির্পোটারদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) যৌথভাবে এর আয়োজন করে।

আতিউর রহমান বলেন, ‘জুনের মধ্যে খাদ্য পণ্যের বার্ষিক মূল্যস্ফীতি এক অংকে নেমে আসবে। মাসওয়ারি মূল্যস্ফীতি এক অংকে নেমে এসেছে। এই ধারা অব্যাহত থাকবে। তবে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করতে তেলের দাম আবার বাড়ানো হলে খাদ্য বর্হিভূত পণ্যের মূল্য আরো বাড়বে।’

দিনব্যাপী এই কর্মশালায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের অর্থনৈতিক বিটের রিপোর্টাররা অংশ নেন। এতে সভাপতি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশিক্ষণ একাডেমীর নির্বাহী পরিচালক আতাউর রহমান। কর্মশালায় ব্যাংক এবং অর্থনৈতিক রিপোর্টিং বিষয়ক বিভিন্ন কারিগরি দিক তুলে ধরা হয়।

গভর্নর বলেন, ‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য রাজস্বনীতি এবং মুদ্রানীতির মধ্যে সমন্বয় দরকার। আমরা সংযত মুদ্রানীতি গ্রহণ করেছি। যার ফলে ইউরোপে সংকট দৃশ্যমান হলেও তাতে আমাদের অর্থনীতি আক্রান্ত হয়নি। যদিও আমাদের অর্থনীতি ইউরো জোনের সঙ্গে সম্পৃক্ত। কিন্তু কিছু কৌশলের কারণে আমরা আক্রান্ত হইনি।’

গভর্নর বলেন, ‘অর্থনীতি এখন আগের থেকে অনেক স্থিতিশীল হয়ে এসেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভালো অবস্থানে রয়েছে। তবে এজন্য রাজস্ব এবং মুদ্রানীতির মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান ঘাটতি স্থিতিশীল হয়ে আসছে। গত দুই তিন মাসে ৩ শতাংশ বেড়েছে। সংযত মুদ্রানীতির কারণে টাকার মান ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে।’

মাথাপিছু আয় তুলে ধরে বলেন, ‘২০০০ সালে মাথাপিছু আয় ছিলো ৩৭৭ ডলার। ২০১০ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৭৫১ ডলার। আর ২০১১ সালে ৮১৮ ডলার। গত দুই দশকে অর্থনীতি দ্বিগুণ বেড়েছে। আর এখাতে বেসরকারি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’

তবে বিনিয়োগ তুলনামূলক ভাবে কম। বিনিয়োগ বাড়ানো যেতে পারে। জাতীয় প্রবৃদ্ধির ২৪ শতাংশ বিনিয়োগ। তবে জিডিপির ৫ শতাংশ ঘাটতি বেশি নয় বলে মনে করেন গভর্নর।

অন্যান্য