রফতানিমুখী পণ্য উৎপাদনের আহ্বান জানালেন শিল্পমন্ত্রী

রফতানিমুখী পণ্য উৎপাদনের আহ্বান জানালেন শিল্পমন্ত্রী

রফতানিমুখী পণ্য উৎপাদন করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। তাই দেশীয় উদ্যোক্তাদের রফতানিমুখী পণ্য উৎপাদন করার ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষন করছি। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়াবে। পণ্য রফতানি করতে হলে আন্তর্জাতিক পদ্ধতির ব্যবহার বাড়াতে হবে। সরকার ব্যবসায়ীদের যে কোনো ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তত।’

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানের সনদ প্রদানের জন্য বিএসটিআইয়ের সব ল্যাব ক্রমান্বয়ে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা হচ্ছে। ওজন ও পরিমাপ সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি আগে দেশের বাইরে থেকে ক্যালিব্রেশন করে আনা হতো। এখন বিএসটিআইয়ে এগুলোর ক্যালিব্রেশন সনদ প্রদান করা হচ্ছে। এই সনদ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পাচ্ছে।’

ব্যবসায়ীদের সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি একে আজাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রফতানিমুখী পোশাক শিল্পের জন্য আন্তর্জাতিক মানের পরীক্ষাগার স্থাপনে শিল্প মন্ত্রণালয় সহ‍ায়তা করবে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া।

রোববার সকালে তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (বিএসটিআই) ভবনে নবম বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘জীবনের নিরাপত্তার জন্য, নিরাপদ জীবন-যাপনের জন্য সঠিক পরিমাপ অপরিহার্য। খাদ্যপণ্য বা ওষুধে নির্ধারিত পরিমাপের উপাদান না থাকলে, তা শারীরিক বৈকল্য তৈরি করবে। অন্যদিকে রোগ-প্রতিরোধের ক্ষমতা কমিয়ে দেবে। যানবাহন নির্মাণের ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাপের উপাদান ব্যবহার না করলে, তা সহজেই ভেঙে পড়বে বা দুর্ঘটনায় পতিত হবে। সম্প্রতি দেশের পরিবহন সেক্টরে সঠিক মাপের স্টিল বা নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না করায় ঘন ঘন সড়ক ও নৌ-দুর্ঘটনা ঘটছে।’

তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক মানের ন্যাশনাল মেট্রোলজি ল্যাবরেটরি স্থাপন করা হয়েছে। বিএসটিআই চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে পুরোপুরি অ্যাক্রিডিটেশন প্রাপ্তির জন্য এসেসমেন্ট সম্পন্ন হবে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য ল্যাবের অ্যাক্রিডিটেশন পাওয়ার প্রচেষ্টা চলবে। এই পরীক্ষাগার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলে দেশের প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। এভাবেই বাংলাদেশকে ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা সম্ভব হবে। দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বিএসটিআই থেকে সেবা পাচ্ছে।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট একে আজাদ। বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ডের (ব্যাব) মহাপরিচালক আবু আবদুল্লাহ, বিএসটিআইয়ের পরিচালক (মেট্রোলজি) মো. খাদেমুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক মেট্রোলজি বিশেষজ্ঞ ড. ফ্রেঞ্চ প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এ কে ফজলুল আহাদ।

বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এ কে ফজলুল আহাদ বলেন, ‘‘বিশ্ব মেট্রোলজি দিবস এ বছরের প্রতিপাদ্য হলো- ‘সঠিক পরিমাপ নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করে’। সব ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাপক ব্যবস্থা ও মান নিয়ন্ত্রণে আমরা বদ্ধপরিকর। আর এজন্য বিএসটিআইসহ অন্যান্য মান নিয়ন্ত্রক সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে।’’

দিবসটি উপলক্ষে বিএসটিআই দেশব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি পালন করে। প্রতিবছর বিএসটিআই প্রধান কার্যালয় ঢাকাসহ পাঁচটি আঞ্চলিক অফিস চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেটে নানা কর্মসূচি পালিত হয়।

অর্থ বাণিজ্য