খাদ্য গুদাম নির্মাণে ২৫০০ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

খাদ্য গুদাম নির্মাণে ২৫০০ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

খাদ্য সংরক্ষণে অত্যাধুনিক সাইলো নির্মাণে ২৫০০ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। ‘বাংলাদেশ মডার্ন ফুড স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিজ প্রজেক্ট (বিএমএসএফপি)’ এর আওতায় এ ঋণ দেওয়া হবে।

রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩৭তম বৈঠকে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ ছায়েদুল হক বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

কমিটির সদস্য খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, আতিউর রহমান আতিক, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ, সালেহা মোশাররফ, জাফর আলী, আকরাম হোসেন চৌধুরী ও ইকবালুর রহিম বৈঠকে অংশ নেন।

কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছে। ওই প্রতিবেদনে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০১৫ সালের জুন মাস নাগাদ এ প্রকল্পের কাজ শেষ করার সম্ভাব্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ প্রকল্পের আওতায় ১০ লাখ মে.টন খাদ্যশস্য সংরক্ষণের জন্য একাধিক অত্যাধুনিক সাইলো নির্মাণ করা হবে। তিন বছর পর্যন্ত এ খাদ্যশস্য যাতে সংরক্ষণ করা যায়, সে ব্যাপারেও প্রকল্পে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ, খুলানার মহেশ্বরপাশা, সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়ী, ঢাকা, বরিশাল, গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জসহ দেশের আরো কয়েকটি স্থানে এসব সাইলো নির্মাণ করা হবে।

মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে আগামী জুন মাসের মধ্যে এসব সাইলো নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হবে। এছাড়া চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে ঠিকাদার নিয়োগের প্রাক-যোগ্যতার কাজের জন্য প্রাক্কলিত ব্যয়সহ প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ প্রকল্পের অধীনে ‘ইমারজেন্সি ২০০৭ সাইক্লোন রিকভারি অ্যান্ড রেসটোরেশন প্রজেক্ট’ এর অধীনে কাজ শুরু হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘কি ইন্টারন্যাশনাল’ ও বাংলাদেশের স্থপতি সংসদ লিমিটেড যৌথভাবে এ কাজ করছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে কাজ শেষ হবে।

বৈঠক শেষে এ বিষয়ে কমিটির সদস্য আতিউর রহমান আতিক বাংলানিউজকে বলেন, ‘কমিটির এসব সাইলো নির্মাণে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি পরামর্শ দিয়েছে। একই সঙ্গে দেশে আরো নতুন খাদ্য গুদাম নির্মাণের সুপারিশ করেছে।’

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় সরকার খাদ্যশস্য রফতানি করার সক্ষমতা অর্জন করলেও চাহিদার দিকে লক্ষ্য রেখে খাদ্যশস্য রফতানি না করার সুপারিশ করা হয়।

খাদ্য বিভাগের সচিব বরুণ দেব মিত্র, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিভাগের সচিব ড. এম আসলাম আলমসহ  সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

অর্থ বাণিজ্য