নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল-নুর মসজিদে বাবার পাশে জুমার নামাজে দাঁড়িয়েছিলেন আলি আদিব। হঠাৎ গুলির শব্দ। সামনের দিকে দৌড়ানোর চেষ্টা করলেন আলি। হোঁচট খেয়ে পড়ে গেলেন। কিছুক্ষণ পর গুলি থামলে দেখলেন, পুরো শরীর দিয়ে যিনি তাকে জড়িয়ে রেখেছেন তিনি তারই বাবা আদিব সামি। বিবিসি, গার্ডিয়ান।
২৩ বছর বয়সী আলি বলেন, ‘গুলি থামার পর মাথা তুলে জরুরী সংস্থায় ফোন করার চেষ্টায় করলাম। কিন্তু মুহূর্তেই গুলির শব্দ পেয়ে বুঝতে পারি হামলাকারী আবার ফিরে আসছে। বাবা আমাকে আবারও ঘিরে ধরলেন। মানুষের স্তুপের ওপর পুনরায় গুলি করতে থাকে সে। আমার পুরো শরীর কাপছিলো।’
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আলির বাবা আবিদ সামির পিঠে ৬টি গুলি লেগেছে। কয়েকটি মেরুদণ্ড ছেদ করেছে।
আলি বলেন, ‘বাবা আমার জন্য পিঠে গুলি নিলেন। তার কারণে আমার গায়ে কোন গুলিই লাগেনি। সেদিন মসজিদের মূল হল রুমে যারা ছিলো তাদের মধ্যে আর কেউ গুলি না খেয়ে বের হতে পেরেছে বলে আমার মনে হয় না।’
আলির বোন হেবা জানান, তার বাবা এখন আইসিইউতে কোমায়। তার দুইটি অপারেশন হয়ে গেছে। হেবা বলেন, ‘আমার বাবা আসল নায়ক। নিজে অনেকগুলো গুলি খেলেও সন্তানের কোন ক্ষতি হতে দেননি তিনি।’
তবে বাবা-ভাই বাঁচলেও অনেক বন্ধুকে হারিয়ে মুষড়ে পড়েছেন হেবা।