প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে মায়ের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পান ভিপি নুরুল

প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে মায়ের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পান ভিপি নুরুল

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে ডাকসুর নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) নুরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীসহ অন্যান্য নেতারা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। আজ শনিবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ডাকসুর সহসভাপতি নুরুল হক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পায়ে হাত দিয়ে সালাম করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ভিপি নুরুল হকের মাথায় হাত বুলিয়ে দেন।

ডাকসু নির্বাচনে কারচুপি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন। পুনরায় নির্বাচন দাবি করে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী অনশনও শুরু করেছিলেন। এসবের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ডাকসুর নবনির্বাচিত নেতারা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে দেখা করলেন।

আজ শনিবার বিকেল সোয়া তিনটায় ডাকসুর ভিপি নুরুল হক ও জিএস গোলাম রাব্বানী গণভবনে প্রবেশ করেন। এরপর ডাকসুর বাকি সদস্যরা প্রবেশ করেন। গণভবনে প্রধানমন্ত্রীকে সালাম করেন ভিপি নুরুল হক। এরপর প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেন, তাঁর মা মারা গেছেন অনেক আগে। প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে তিনি তাঁর মায়ের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেশ কিছু সময় নুরুল হকের সঙ্গে কথা বলেন। তারপর ডাকসুর ভিপি নুরুল হক একটি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।

ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে বিশ্বের অন্য কোনো দেশে খেলতে পাঠানোর আগে আয়োজক দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ভবিষ্যতে যেখানেই আমাদের ক্রিকেট টিম পাঠাব, সেখানে অন্তত তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমরা ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই পাঠাব। কারণ আমাদের দেশে যারা খেলতে আসেন, তাঁদের আমরা সব সময় যথাযথভাবে নিরাপত্তা দিয়ে থাকি।

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় হতাহতদের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনার পাশাপাশি এ ঘটনায় বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের বেঁচে যাওয়ায় আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে এ ঘটনাকে ‘ঘৃণ্য সন্ত্রাসী’ ও ‘জঙ্গিবাদী ঘটনা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে এ ধরনের হামলা বন্ধে বিশ্ববাসীকে একযোগে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ক্রিকেট খেলোয়াড়দের ওই মসজিদেই নামাজ পড়তে যাওয়ার কথা। তাঁরা গিয়েছিলও। কিন্তু ওখানে একজন আহত মহিলা তাঁদের মসজিদের মধ্যে ঢুকতে বারণ করেন। তাঁরা কোনো মতে জীবন নিয়ে ফিরে আসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আশাকরি বিশ্ববাসী এই ধরনের ঘটনার শুধু নিন্দাই করবে না, এই ধরনের সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী ঘটনা যেন বন্ধ হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। তিনি বলেন, এটি একটি ঘৃণ্য ঘটনা। এটি সন্ত্রাসী, জঙ্গিবাদী ঘটনা। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। সেখানে যেভাবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ঢুকে নামাজরত অবস্থায় তাঁদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, এর চেয়ে জঘন্য কাজ, ঘৃণ্য কাজ হতে পারে না। যারা জঙ্গি, সন্ত্রাসী তাদের কোনো ধর্ম নেই। তাদের কোনো দেশ নেই, জাতিও নেই। তারা সন্ত্রাসী। এদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অনেক কষ্ট করে আমরা আমাদের দেশকে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ থেকে রক্ষা করতে পেরেছি। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস মানুষের অমঙ্গল ছাড়া কোনো মঙ্গল করতে পারে না। তিনি আরও বলেন, ধর্মীয় স্বাধীনতা, এটা সব মানুষের স্বাধীনতা। আমাদের দেশে আমরা সেটা রক্ষা করতে পেরেছি। যে যার যার ধর্ম সে স্বাধীন ভাবে পালন করবে। সেই সুযোগটা আমরা করে দিয়েছি।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর