২০০৮ থেকে ২০১৮ এই দশ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অস্ত্রের ঝনঝনানি হয়নি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এক সময় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল। গুলি-বোমা ছিল প্রতিদিনকার ব্যাপার। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে এক দলের নেতাকর্মীরা অন্য দলের নেতাকর্মীদের হত্যা করত। আমরা ক্ষমতায় এসে অস্ত্রের পরিবর্তে শিক্ষার্থীদের হাতে কলম তুলে দিয়েছি।
আজ শনিবার ডাকসুর নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির আমল থেকে ডাকসু নির্বাচন বন্ধ ছিল। ডাকসু নির্বাচনটা চ্যালেঞ্জ ছিল আমাদের জন্য। আমরা সেটা করতে পেরেছি।
ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ডাকসু নির্বাচন যেন শান্তিপূর্ণ হয়, এটা সবসময় বলেছি। ছাত্রছাত্রীরা যা চাইবে, তাই হবে। ভোট কে কত পেল, সেটা বড় নয়। যারা জয়লাভ করেছে সবার কিন্তু এই বিবেচনা রাখতে হবে কে ভোট দিল কে দিল না সেটা বিষয় নয়।
নির্বাচনে ভিপি পদে হেরে যাওয়া শোভনের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভোটে হারার পর শোভন আমার কাছে এসেছে। আমি শোভনকে বলেছি, ভোটে হেরেছ, এবার যাও তাকে (নুর) অভিনন্দন জানাও। সে তাই করেছে। আমি এজন্য শোভনকে ধন্যবাদ জানাই। সে রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তার দাদা এমপি ছিলেন, বাবা উপজেলা চেয়ারম্যান। সে তার রাজনৈতিক উদারতা দেখিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব খুঁজছি। সেটা ছাত্রজীবন থেকেই শুরু হলে ভালো। আমরা স্কুলজীবন থেকেই শুরু করেছি ছোটবেলা থেকেই গণতন্ত্রের চর্চা থাকুক।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে তিনজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। পাশাপাশি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।
এর আগে বিকেল তিনটার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যান ডাকসুর নবনির্বাচিত নেতারা। এ সময় ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর ও ছাত্রলীগকে পৃথক গাড়িতে গণভবনে যেতে দেখা যায়। পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডাকসুর নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি (ভিপি) নুরুল হক নুর ও বিজয়ী অন্যান্য নেতৃবৃন্দের পরিচয় পর্ব সম্পন্ন হয়।