ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস’ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ আহবান জানান।
পণ্যের গুণগত মান বজায় রেখে ক্রয়ক্ষমতা ভোক্তার নাগালের মধ্যে রাখার দিকে দৃষ্টি দিতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। দারিদ্র্যতা হ্রাস পেয়েছে। দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়ে ১৭৫১ ডলারে উন্নীত হয়েছে। ফলে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ভোক্তাদের অধিকার সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯’ প্রণয়ন করেছে। এই আইন দেশের ভোক্তা সাধারণের অধিকার সংরক্ষণ, ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যক্রম প্রতিরোধ, ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনজনিত অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে সাহায্য করছে এবং জনগণ এর সুফল পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে নকল, ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বা ওষুধ, ধার্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে কোন ঔষধ, পণ্য বা সেবা বিক্রয়, ওজনে বা পরিমাপে কম দেয়ার মতো ভোক্তা অধিকার বিরোধী কার্যক্রম প্রতিরোধ করা হচ্ছে।
ভোক্তার স্বার্থসংরক্ষণে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, নিয়মিত বাজার তদারকির মাধ্যমে দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক ও সহনশীল রাখতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
দিবসটি উপলক্ষে সকল ভোক্তাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিবছরের মতো এবারও বাংলাদেশে ১৫ মার্চ ‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস ২০১৯’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।’
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানায়ে তিনি ‘বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস’ উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।