দরজায় কড়া নাড়ছে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ। এর আগে অনুষ্ঠিতব্য ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) অংশ নেবে বাংলাদেশের শীর্ষ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। তবে বিশ্বকাপের আগে সতেজ থাকতে এবং সম্পূর্ণ সুস্থ থাকার জন্য সাকিবকে আইপিএলে কাজের চাপ কম নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
আঙ্গুলের ইনজুরি কাটানোর জন্য এখন পুনর্বাসনে রয়েছেন সাকিব। তবে আকর্ষণীয় ও বিপুল অর্থ আয়ের সুযোগ থাকায় তাকে আপিএলে খেলার অনুমতি দিয়েছে বোর্ড।
বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনিস আজ সাংবাদিকদের বলেন, আইপিএলে অংশগ্রহণে সাকিবকে বাধা দেওয়ার কোনো কারণ আছে বলে আমি মনে করি না। কারণ যখন একজন খেলোয়াড় সম্পূর্ণ সুস্থ থাকবে, তখন সে যে কোনো খেলাতেই অংশ নিতে পারবে। তবে তাকে অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যেন ইনজুরির কবলে না পড়েন। আমরা ইতোমধ্যে তাকে আইপিএলে খেলার ছাড়পত্র দিয়ে দিয়েছি।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে আঙ্গুলের ইনজুরিতে পড়েন সাকিব। যে কারণে নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশ দলের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে অংশগ্রহণ করতে পারেননি এই অল রাউন্ডার। এমনকি চলমান তিন টেস্টেও সিরিজেও খেলা হচ্ছে না তার।
ইউনিস বলেন, সাকিব সুস্থতা ফিরে পাচ্ছেন। তবে এখনো তাকে ১০ দিনের বিশ্রামে রাখা হয়েছে। সঠিক সময়ের মধ্যে যদি তিনি পরিপূর্ণ সুস্থতা ফিরে পেতেন তাহলে তাকে নিয়ে ভাবা যেতো। তবে এখন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে তার অংশগ্রহণের সুযোগ নেই।
তিনি যদি সুস্থতা ফিরে পান এবং চিকিৎসকরা যদি অনুমতি দেন তাহলে তার সুযোগ রয়েছে যেকোনো ফর্মেটে খেলার। আইপিএলেও সুস্থতা ফিরে পাওয়া সাপেক্ষে এবং চিকিৎসকদের অনুমতির ভিত্তিতে অংশ নিতে পারবেন সাকিব। তবে ওই সময় জাতীয় দলের কোনো খেলা পড়লে তাকে ফিরে আসতে হবে।
ইউনিসের ভাষ্যমতে সাকিবকে তার ইনজুরি নিয়ে সাবধান করে দেওয়া হয়েছে, এবং বলা হয়েছে তিনি যেন ইনজুরির বিষয়ে সচেতন থাকেন। যাতে আসন্ন বিশ্বকাপে কোনো ধরনের প্রভাব না পড়ে।
তিনি বলেন, ইনজুরির বিষয়ে আমরাও বেশ সতর্ক রয়েছি। যে কারণে আমরা তাকে বলেছি কোনো চাপ নিয়ে না খেলতে। সেটি আইপিএল হোক কিংবা অন্য কোনো টুর্নামেন্ট। কারণ আমাদের প্রধান লক্ষ্য তাকে বিশ্বকাপে পাওয়া।
তবে কতটা খেলবেন এবং কি করবেন সে সিদ্ধান্ত তিনিই নেবেন। তার সিদ্ধান্ত নেবার কারণ হচ্ছে তার নিজেরই নিজেকে রক্ষা করতে হবে। এটিই হচ্ছে আমাদের অগ্রাধিকার। কোনো খেলোয়াড় যদি সুস্থ থাকে তাহলে তিনি আইপিএল কিংবা অন্য যেকোনো খেলায় অংশ নিতে চাইলে তাকে বাধা দিতে চায় না বোর্ড।