বেশি দামে বিশেষ শ্রেণিতে বিদ্যুৎ: আদেশ সোমবার

বেশি দামে বিশেষ শ্রেণিতে বিদ্যুৎ: আদেশ সোমবার

শিল্প ও আবাসিকে বিশেষ শ্রেণির (কিউ শ্রেণি) গ্রাহকদের উচ্চমূল্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যাপারে সোমবার আদেশ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

এর আগে ১৩ মে আদেশ দেওয়ার কথা থাকলেও আঞ্চলিক এনার্জি সেমিনারের কারণে সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন বিইআরসি সদস্য ড. সেলিম মাহমুদ।

বিইআরসির আরেক সদস্য প্রকৌশলী এমদাদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমাদের পেপার তৈরি শেষ হয়েছে। রোববার কমিশনের স্বাক্ষর করার কথা রয়েছে। আশা করছি, সোমবার আদেশ দেওয়া যাবে।’

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) প্রস্তাবের চেয়ে কম মূল্য নির্ধারণের ইঙ্গিত দিলেও ঠিক কত মূল্য নির্ধারণ করা হচ্ছে বলতে রাজি হননি প্রকৌশলী ইমদাদুল হক।

পিডিবির প্রস্তাবে আরও বলা হয়েছে, হাইড্রো-ফার্নেস অয়েলভিত্তিক কাটাখালি ৫০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্লান্ট, হরিপুর বিএমপিপি ১১০ মেগাওয়াট, মেঘনাঘাট ১০০ মেগাওয়াট, সিদ্ধিরগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট কুইক রেন্টাল, নওয়াপাড়া ৪০ মেগাওয়াট কুইক রেন্টাল, কেরানীগঞ্জ ১০০ মেগাওয়াট কুইক রেন্টাল ও খুলনা ১১৫ মেগাওয়াট কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্ট ৭০ শতাংশ হারে চালানো হবে।

এই আটটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র ৭০ শতাংশ পরিচালনা করলে ৫০০ মেগাওয়াট বাড়তি বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। এতে করে শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হবে। সেই সঙ্গে বতর্মানে শিল্পে সরবরাহ করা বিদ্যুৎ অন্য গ্রাহকদের সরবরাহ করা হলে লোডশেডিং কমবে।

পিডিবি আবাসিকে প্রতি ইউনিট ১৩ দশমিক ১৫ টাকা, শিল্পে ১৬ দশমিক ৭৩ টাকা (১৩২ কেভি লাইন), ১৭ দশমিক ৫২ টাকা (২২ কেভি লাইন) ও ১৮ দশমিক ২৩ টাকা (১১ কেভি লাইন) মূল্য নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেছে।

পিডিবি উল্লেখ করেছে, তাদের উল্লিখিত আটটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে জ্বালানি, সঞ্চালন ও অন্যান্য মিলে প্রতি ইউনিটে গড় খরচ পড়বে ১৫ দশমিক ৯৬ টাকা।

কিউ শ্রেণির গ্রহক হতে হলে বিদ্যুৎ লাইন, সাব স্টেশন স্থাপনসহ অবকাঠামো উন্নয়নের খরচ গ্রাহককে বহন করতে হবে। যে কেউ চাইলে গ্রাহক হতে পারবে। তবে কাউকে বাধ্য করা যবে না। এছাড়া একই সঙ্গে দুই শ্রেণির গ্রাহক থাকা যাবে না। যে কোনো একটি গ্রহণ করতে হবে।

উল্লেখ্য, ২ মে তারিখে গণশুনানিতে অংশ নিয়ে বিইআরসি চেয়ারম্যান সৈয়দ ইউসুফ হোসেন বলেছিলেন, পিডিবির এই প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য মনে হয়েছে। সে কারণে বিইআরসি বিষয়টিকে পজেটিভ হিসেবে দেখছে।

কোনো রকম সমীক্ষা না থাকলেও এই পদ্ধতি চালু হচ্ছে বলে ধরেই নেওয়া যায়। বিশেষ করে বিইআরসি চেয়ারম্যানের বক্তব্যে বিষয়টি সময়ের ব্যপার বলে ধরে নিয়েছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। এ নিয়ে শিল্প মালিকদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

বাংলাদেশ